হোর্হে সাম্পাওলির সঙ্গে আর্তুরো ভিদালের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চিলির কোচ ছিলেন সাম্পাওলি। তাঁর অধীনেই ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকা জেতে চিলি। সে সময় সাম্পাওলি–ভিদালের সম্পর্ক বেশ উষ্ণই ছিল। কিন্তু এ বছর থেকে সেটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার ভিদাল এখন খেলছেন আথলেতিকো পারানায়েনসেতে। পরশু রাতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে অভিষেক হয়েছে তাঁর। অথচ কদিন আগেও তিনি ব্রাজিলের আরেক ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে রিও ডি জেনিরোর ক্লাবটির চুক্তির মেয়াদ আরও ৫ মাস বাকি ছিল। কিন্তু পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার চুক্তি বাতিল করেন। পরদিন শুক্রবার যোগ দেন পারানায়েনসেতে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, চুক্তির মেয়াদ বাকি থাকলেও ভিদালের হঠাৎ ক্লাব পরিবর্তনের কারণ কী? উত্তরটা ভিদাল নিজেই দিয়েছেন। যে সাম্পাওলি একসময় চিলির কোচ ছিলেন, গত এপ্রিল থেকে সেই সাম্পাওলিকে ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ হিসেবেও পেয়েছিলেন ভিদাল। ৩৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার তখন হয়তো ভেবেছিলেন, তাঁর প্রতি আগের মতোই আস্থা রাখবেন আর্জেন্টাইন কোচ।
কিন্তু ফ্ল্যামেঙ্গোতে ভিদাল দেখেছেন সাম্পাওলির ভিন্ন রূপ। তাঁকে ম্যাচের পর ম্যাচ বসিয়ে রেখেছেন সাম্পাওলি। যে কটি ম্যাচে মাঠে নামিয়েছেন, সেগুলোর একটিতেও পুরো ৯০ মিনিট খেলাননি। একপর্যায়ে ভিদালকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেন।
সাম্পাওলির এমন অবমূল্যায়ন মেনে নিতে পারেননি ভিদাল। তাঁর হাত থেকে মুক্তি পেতেই শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যামেঙ্গো ছেড়ে পারানায়েনসেতে নাম লিখিয়েছেন। পরশু পারানায়েনসের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সাম্পাওলির ওপর তোপ দেগেছেন, ‘এত দিন আমি এক পরাজিত কোচের কাছে আটকা পড়েছিলাম, যিনি জানেন না কীভাবে খেলোয়াড়দের সমাদর করতে হয়। আবার খেলতে পেরে ভালো লাগছে। আমি সব সময় মাঠে নামতে প্রস্তুত।’
ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়ে গত বছর কোপা দো ব্রাজিল ও কোপা লিবার্তাদোরেস জেতা ভিদাল পারানায়েনসেতেও ট্রফি এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘যা ঘটেছে, তা অতীত। এখন আমি খুশি। আশা করছি সামনের ম্যাচগুলোতে আমি শুরুর একাদশে থাকব। ক্যারিয়ারে যা কিছু করেছি, এখানেও সেটা করে দেখাতে চাই। আবার বিজয়ী হতে চাই।’