সবশেষ চার ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয়বার হারল আর্সেনাল। কাল নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট হামের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করেছে মিকেল আরতেতার দল। তবে হারের চেয়েও হারের ধরনে বেশি হতাশ আর্সেনাল কোচ। ওয়েস্ট হাম ৬টি শটের ২টিই জালে পাঠিয়েছে, কিন্তু আর্সেনাল ৩০টি শট নিয়েও মাঠ ছেড়েছে শূন্যতা নিয়ে।
ভীষণ হতাশ আরতেতা তাই বলেই ফেললেন, এমন একটা ম্যাচের কথা তিনি ভাবতেই পারছেন না!
নিজেদের মাঠ এমিরেটসে বলের দখল, পাস, শট, লক্ষ্যে শট, কর্নার আদায়—সবকিছুতেই ওয়েস্ট হামের চেয়ে এগিয়েছিল আর্সেনাল। ৭৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে আর ৭৪৬টি পাস খেলে গোলের জন্য মোট ৩০টি শট নিয়েছেন বুকায়ো সাকা, এডি এনকেতিয়া, মার্টিন ওডেগার্ডরা। এর মধ্যে ৮টি শটই ছিল লক্ষ্যে। এ ছাড়া ওয়েস্ট হামের ডি বক্সে আর্সেনালের খেলোয়াড়েরা বল স্পর্শ করেছেন ৭৭ বার, কিন্তু গোলের দেখা পাননি কেউই।
ফুটবলের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান অপটার হিসাব বলছে, ২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে এখন পর্যন্ত গোল না পাওয়া দলের প্রতিপক্ষের বক্সে সবচেয়ে বেশি বলে স্পর্শের রেকর্ড এটি। এত বেশি সম্ভাবনা তৈরি করেও গোল না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে হতাশাই প্রকাশ করেছেন আর্সেনাল কোচ, ‘যখন দেখবেন যে ম্যাচজুড়ে কতগুলো সুযোগ তৈরি হলো, কিন্তু ফল এই, তখনই খুব হতাশই লাগবে। ওয়েস্ট হাম দুই বক্সেই আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তিনটি শট নিয়ে দুটি থেকেই গোল পেয়েছে। আমরা শট নিয়েছি ৩০টি। আমি জানি না বক্সে কতবার (বল) স্পর্শ করেছি আমরা, কতবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছি; কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা পারিনি। ফুটবলে ম্যাচ জিততে হলে আরও ভালো করতে হয়।’
দাপুটে ফুটবল খেলেও গোল আদায় না করতে পারার বিষয়টি ঠিক মানতে পারছেন না আরতেতা, ‘আমাদের গোলের সুযোগ তৈরি করেই যেতে হবে। ৩০ শটে গোল না হলে ৫০ বা ৬০টি শট নিতে হবে। এটাই একমাত্র পথ। আমি ভাবতেই পারছি না যে বক্সে এতবার বল স্পর্শ করে, দাপট দেখিয়ে এবং ওয়েস্ট হামের মতো ভালো একটি দলকে কম সুযোগ দেওয়ার পরও সেটা আমাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না।’
১৯তম রাউন্ডে ওয়েস্ট হামের কাছে হেরে আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ৪০, শিরোপা দৌড়ে অবস্থান দুইয়ে। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ১৯ ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাস্টন ভিলা তিন এবং ১৮ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি চারে আছে।