ম্যাচ শেষে সমর্থকদের ধন্যবাদজ্ঞাপন লেভারকুসেন দলের
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের ধন্যবাদজ্ঞাপন লেভারকুসেন দলের

লেভারকুসেনের রেকর্ড, আলোনসো বললেন আরও চাই

আরও একবার শেষ মুহূর্তের গোল, আরও একবার উদ্ধার লেভারকুসেন। ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রোমার বিপক্ষে ৯৭ মিনিটের গোলে ২-২-এ ড্র করেছে লেভারকুসেন। যে ড্রয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে জার্মান ক্লাবটি। গতকাল রাতের ড্রয়ে ৪৯ ম্যাচে অপরাজিত রইল জাবি আলোনসোর দল। তারা পেছনে ফেলেছে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার ৫৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড।

অপরাজেয় থাকার রেকর্ডের দিনে ইউরোপা লিগের ফাইনালেও উঠেছে লেভারকুসেন। ক্লাবের ইতিহাসে এবারই প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি এখন ইউরোপা এবং জার্মান কাপ মিলিয়ে মোট তিনটি ট্রফি জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে। কোচ জাবি আলোনসো বলেছেন, ‘আমরা তিনটি শিরোপারই যোগ্য।’

অবিশ্বাস্য এক মৌসুম কাটানো লেভারকুসেন বৃহস্পতিবার রাতে রোমার কাছে হারের প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। লিয়ান্দ্রো পারেদেসের ৪৩ ও ৬৬ মিনিটের পেনাল্টি গোলে রোমা এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। লেভারকুসেন প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ম্যাচে তখন সমতা। ৮২ মিনিটে রোমার জিয়ানলুকা মানচিনির আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে লেভারকুসেন ব্যবধান কমায়। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধান হওয়ায় এই স্কোরলাইন ধরে রাখলেই ইউরোপার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত লেভারকুসেনের। কিন্তু অপরাজিত থাকার যাত্রাটা যেত থেমে।

রোমার সঙ্গে শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র করে ইউরোপা লিগের ফাইনালে জায়গা করেছে লেভারকুসেন

৯৭ মিনিটে লেভারকুসেনের কাঙ্ক্ষিত সেই গোলটিই এনে দেন জোসিফ স্তানিসিচ। এটি চলতি মৌসুমে যোগ করা সময়ে লেভারকুসেনের ১৭ তম গোল। ১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত টানা ৪৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল বেনফিকা। প্রায় ছয় দশক পর রেকর্ডটা এখন লেভারকুসেনের।

আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তার মুখোমুখি হবে লেভারকুসেন। ২৫ মে জার্মান কাপের ফাইনাল দ্বিতীয় স্তরের দল কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে।

লেভারকুসেন কোচের আশা, তাঁর দল দুটি ট্রফিই জিতবে, ‘এখন আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি ফাইনাল খেলব। আজ ওদের (রোমার) দ্বিতীয় গোলের পর আমরা নিজেদের চরিত্র দেখাতে পেরেছি। আমি আমার ছেলেদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছি, ওরা আরও চায়। আমাদের এখনো তিনটি ট্রফি জেতার সুযোগ আছে। আমার ছেলেরা তিনটিই জেতার যোগ্য।’