কাতারে বিশ্বকাপ জিতে গত বছরের ডিসেম্বর অনন্য এক উচ্চতায় ওঠেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দময় স্মৃতি নিয়ে তিনি শুরু করেন ২০২৩ সাল। যদিও বছরটার মেসির জন্য খানিকটা উত্থান–পতনেরই ছিল। বিশেষ করে পিএসজিতে শেষ ছয় মাস মোটেই ভালো ছিলেন না মেসি। দর্শকদের দুয়োও শুনতে হয় এই আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে।
শেষ পর্যন্ত মৌসুম শেষে পিএসজি ছেড়ে মেসি চলে যান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। মায়ামিতে অবশ্য শুরুটা দারুণভাবেই করেন মেসি। দলটিকে এনে দেন তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপাও। এমএলএস মৌসুমের শেষ ভাগে অবশ্য চোটের জন্য খুব বেশি খেলতে পারেননি মেসি।
ক্লাবের হয়ে উত্থান–পতনের সময় গেলেও জাতীয় দলের জার্সিতে অবশ্য নিয়মিতই আলো ছড়িয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। প্রীতি ম্যাচ ও বিশ্বকাপ বাছাই মিলিয়ে পুরো বছরে মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ২–০ গোলের সেই হার বাদ দিলে বছরটা আর্জেন্টিনার জন্য দুর্দান্তই ছিল।
এ বছরে মেসি সব মিলিয়ে খেলেছেন ৪৪ ম্যাচ। যেখানে তিনি করেছেন ২৮ গোল। পিএসজির হয়ে ৯, ইন্টার মায়ামির হয়ে ১১ এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে করেছেন ৮ গোল। এই ২৮ গোলের কোনোটিই মেসি পেনাল্টিতে করেননি। অর্থাৎ ২০২৩ পঞ্জিকাবর্ষে মেসি পেনাল্টি থেকে কোনো গোল করেননি। এমন নয় যে মেসি পেনাল্টি নিয়ে গোল মিস করেছেন। এ বছর মেসি কোনো পেনাল্টিই নেননি। আর এ ঘটনা মেসির ক্যারিয়ারে ঘটল ১৭ বছর পর। এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে পেনাল্টিতে কোনো গোল ছাড়া বছর শেষ করেছিলেন মেসি।
২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি মৌসুমেই পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছেন মেসি। যেখানে বার্সেলোনার হয়ে ২০১২ সালে পেনাল্টিতে মেসি করেছিলেন ১৪ গোল। সেটি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারে এক বছরে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি গোল। মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি গোলে দ্বিতীয়বার দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছিলেন ২০১৭ সালে।
সেবার পেনাল্টিতে ১০ গোল পেয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। আর ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের বছরে মেসি সবমিলিয়ে ৬ গোল করেছিলেন পেনাল্টিতে। যার চারটিই তিনি করেছিলেন বিশ্বকাপে। এমনকি বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষেও পেনাল্টিতে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন মেসি। বিশ্বকাপ ফাইনালে করা সেই গোলটিই এখন পর্যন্ত মেসির ক্যারিয়ারে করা সর্বশেষ পেনাল্টি গোল।