৩৯ বছর পেরিয়ে ৪০–এর দিকে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাঁর সমসাময়িক অনেক ফুটবলার আরও আগেই বিদায় জানিয়েছেন ফুটবলকে। কিন্তু সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন রোনালদোর যেন থামাথামি নেই। ইউরোর ব্যর্থতার পর অনেকে তাঁর শেষ দেখে ফেললেও রোনালদো বলেছেন, তিনি আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে চান।
রোনালদোর এমন চাওয়ার যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন কোচ রবার্তো মার্তিনেজও। পাশাপাশি রোনালদো এই বয়সেও কীভাবে কার্যকর, সে বিষয়েও ‘গোপন তথ্য’ তাঁর কাছে আছে বলে মন্তব্য করেছেন এই কোচ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অবসর প্রসঙ্গে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি এ মুহূর্তে জাতীয় দলকে আসন্ন ম্যাচগুলোয় সাহায্য করে যেতে চাই। আমাদের সামনে নেশনস লিগ আছে এবং সত্যিকার অর্থেই আমি খেলার ইচ্ছা রাখি।’
গত জুলাইয়ে শেষ হওয়া ইউরোয় নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন রোনালদো। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে পর্তুগালের বিদায়ের পর আঙুলও উঠেছিল তাঁর প্রতি। সমালোচিত হয়েছিলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে স্লোভানিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করার কারণেও।
সেদিন অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি মিস করে কান্নায়ও ভেঙে পড়েছিলেন রোনালদো। এরপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেকেই রোনালদোকে অবসর নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু পর্তুগিজ কিংবদন্তির আপাতত থামার ইচ্ছা নেই। পাশাপাশি তাঁকে থামানোর ইচ্ছা নেই কোচ মার্তিনেজেরও।
রোনালদোর বয়স নিয়ে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম ‘রেকর্ড’কে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টগুলোতে বয়স আমার মনে হয় না গুরুত্বপূর্ণ কিছু। আমার ধারণা, বয়স বরং সাহায্য করে। আমরা পেপেকেও দেখেছি। সে দুর্দান্ত খেলেছে (এই বয়সেও)। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা হচ্ছে চিকিৎসা দলের।’
এ সময় রোনালদোকে নিয়ে ‘গোপন তথ্য’ আছে জানিয়ে মার্তিনেজ আরও বলেছেন, ‘আমরা তাদের (খেলোয়াড়দের) পারফরম্যান্স দেখি পরিসংখ্যানে। যা দেখায় যে ক্রিস্টিয়ানোর (রোনালদো) সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। আমার কাছে তার গোপন তথ্য আছে, যা এই কথাগুলোকে সমর্থন করে। প্রতিযোগিতা চলাকালে আমাদের কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি।’
আন্তর্জাতিক বিরতিতে পর্তুগাল নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে সেপ্টেম্বরে। ৫ সেপ্টেম্বর নেশনস লিগের ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর পর্তুগাল পরের ম্যাচ খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।