বদল হয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ক্লাব টুর্নামেন্টের ফরম্যাট। এত দিন এএফসি দুটি ক্লাব টুর্নামেন্ট আয়োজন করত। শীর্ষ ক্লাবগুলোকে নিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ও এএফসি কাপ। পরশু ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এএফসির কংগ্রেসে নতুন ফরম্যাট অনুমোদন হয়েছে। তিনটি স্তরের এই ফরম্যাটে আছে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ (এসিএল) এলিট, এসিএল টু এবং এফসি চ্যালেঞ্জ লিগ। বাংলাদেশের একটি মাত্র ক্লাব তৃতীয় স্তর অর্থাৎ এফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার সুযোগ পাবে। সেটাও সরাসরি নয়, পেরোতে হবে প্লে-অফের বাধা।
সর্বশেষ মৌসুমেও এএফসি কাপে বাংলাদেশের দুটি কোটা ছিল। বসুন্ধরা কিংস সরাসরি খেলেছে, আবাহনীর সামনে ছিল প্লে-অফের বাধা। বাংলাদেশের ক্লাব র্যাঙ্কিং ভালো ছিল বলেই দুটি দল সুযোগ পেত। এশিয়ার ৪৭ দেশের মধ্যে ২০২০ সালে বাংলাদেশের ক্লাব র্যাঙ্কিং ছিল ২৩। ২০২১ সালে সেটি হয়েছে ২১। ২০২২-২৩ মৌসুমে ২৭। আন্তর্জাতিক ক্লাব প্রতিযোগিতায় পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং হয়। এবার এশিয়াকে ভাগ করা হয়েছে দুটি অঞ্চলে—পূর্ব ও পশ্চিম। পশ্চিমে ২৫ দলের মধ্যে বাংলাদেশ আছে ১৫ নম্বরে। এই হিসাবেই নতুন ফরম্যাটে বাংলাদেশ সবচেয়ে নিচের স্তর এফসি চ্যালেঞ্জ লিগে পড়েছে। সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা সুযোগ পাবে তাতে।
এরই মধ্যে তিন ম্যাচ হাতে রেখে চলমান প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়া বসুন্ধরা কিংস এএফসির টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে। ২০১৯ সালে আবাহনী উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের সঙ্গে আঞ্চলিক সেমিফাইনাল খেলায় বাংলাদেশের ক্লাব র্যাঙ্কিং বেড়ে গিয়েছিল। যার সুবিধা নিয়ে গত বছর চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ খেলার সুযোগ পায় কিংস। গত বছর যেখানে অস্কার ব্রুজোনের দল চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রপ পর্বে যেতে প্লে-অফ খেলেছে, সেই দলকেই এবার খেলতে হবে তৃতীয় স্তরে। কিংস টানা ৫ বার প্রিমিয়ার লিগ জিতলেও এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বে আটকে গেছে প্রতিবারই।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারত দ্বিতীয় স্তরের এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে দুটি কোটা পেয়েছে। একটি ক্লাব খেলবে সরাসরি, আরেকটি দলকে খেলতে হবে প্লে-অফ। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য ছয় দেশের ক্লাবকে তৃতীয় স্তরে প্লে-অফ খেলে মূল পর্বে উঠতে হবে। এই স্তরে কুয়েত, তুর্কমেনিস্তান ও লেবাননের একটি করে ক্লাব সরাসরি খেলবে।
বাফুফের কম্পিটিশনস ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী বলেছেন, বাংলাদেশের ক্লাব র্যাঙ্কিং আগের চেয়ে খারাপ হওয়ার কারণেই খেলার সুযোগ কমেছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভালো না করলে আরও পেছাতে হবে বাংলাদেশের ক্লাবগুলোকে।