পরপর দুই ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজেদের রাজত্ব পুনরুদ্ধারের বার্তা দিয়ে রেখেছে বার্সেলোনা। শুধু জেতাই নয়, যে ধরনের ফুটবল খেলে বার্সা ম্যাচ দুটি জিতেছে, তা বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। রক্ষণ থেকে আক্রমণ, সব জায়গাতেই দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল হিসেবে পারফর্ম করে চলেছে বার্সা। এমনকি লা লিগার মাসসেরার পুরস্কারগুলোতেও এখন বার্সার একচ্ছত্র দাপট।
চলতি মৌসুম শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেওয়া মাসসেরা খেলোয়াড়ের সব কটি পুরস্কারই গেছে বার্সার দখলে। আগস্ট মাস থেকেই শুরু করা যাক। মৌসুমের প্রথম মাসে তিনটি পুরস্কার গিয়েছিল বার্সার ঘরে। মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারে মৌসুমের প্রথম ট্রফিটা উঠেছিল দারুণ ছন্দে থাকা রাফিনিয়ার হাতে।
মাসসেরা হওয়া ব্রাজিলিয়ান এ উইঙ্গার আগস্ট মাসজুড়েই দারুণ ছন্দে ছিলেন। লা লিগায় চার ম্যাচে তিন গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেন আরও তিন গোলে। সে মাসে তাঁর করা তিন গোলই অবশ্য এসেছিল এক ম্যাচে। রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। অন্যদিকে বার্সার ডাগআউটে নিজের প্রথম মৌসুমেই মাসসেরা কোচ নির্বাচিত হন হান্সি ফ্লিক আর অনূর্ধ্ব ২৩ বছর বয়সীদের মধ্যে মাসসেরা হন লামিনে ইয়ামাল।
মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার সেপ্টেম্বরেও নিজেদের দখলে রাখে বার্সা। এবার পুরস্কারটি জেতেন আরেক উইঙ্গার ইয়ামাল। ১৭ পেরোনোর আগেই তারকা হয়ে ওঠা ইয়ামাল সেপ্টেম্বরের চার ম্যাচে ৩ গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেন। তবে গোল বা অ্যাসিস্ট এক পাশে সরিয়ে রাখলেও ম্যাচগুলোয় ইয়ামালের পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য।
চলতি মৌসুমে বার্সার আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা বলা যায় ইয়ামালকে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই বার্সার আক্রমণগুলো পরিচালিত হচ্ছে তাঁকে ঘিরে, যার ফলে তাঁর হাতে উঠেছিল মাসসেরার পুরস্কারটি।
চলতি মৌসুমের নানা হিসাবের কারণে অক্টোবর মাসটা ছিল বার্সার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। এই মাসেও নিজেদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে পেরিয়ে গেছে বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারানোর পর লা লিগায় উড়িয়ে দিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে। বার্সার এমন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার পথে দলের স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি ছিলেন অনন্য।
অক্টোবরে বার্সার হয়ে খেলা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ লেভা গোল করেছেন ৭টি। এরপর অবশ্য তাঁর মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার আর কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও চলে। একই মাসে কৌশল নিপুণতা দেখিয়ে মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন ফ্লিক। আর অনূর্ধ্ব ২৩ বছর বয়সীদের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন পেদ্রি। তিন মাসে মাসসেরায় বার্সার এই দাপটই বলে দিচ্ছে সময়টা এখন তাদেরই।