কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদল নিয়ে আলোচনা চলছে। পিএসজিতে থাকবেন নাকি পাড়ি জমাবেন অন্য কোথাও—এ প্রশ্নের উত্তর জানতেই যত কৌতূহল। অবশ্য ‘অন্য কোথাও’–এর জায়গায় কেউ চাইলে রিয়াল মাদ্রিদও পড়তে পারেন। আগের দুই মৌসুমেও তাঁর রিয়ালে যাওয়া নিয়ে উত্তপ্ত ছিল দলবদলের বাজার। যদিও শেষ মুহূর্তে গিয়ে দুবারই রিয়ালকে নিরাশ করে এমবাপ্পেকে ধরে রাখে পিএসজি।
এবার কি ভিন্ন কিছু হবে, নাকি পুনরাবৃত্তি হবে সেই পুরোনো চিত্রনাট্যের? রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগোর প্রত্যাশা অবশ্য এমবাপ্পে রিয়ালেই আসবেন। যদিও সুনিশ্চিত কোনো তথ্য তাঁর কাছেও নেই বলে মন্তব্য করেছেন এই ফরোয়ার্ড।
শৈশব থেকেই রিয়াল মাদ্রিদে খেলার স্বপ্ন বুনছেন এমবাপ্পে। গত দুই মৌসুমের দলবদলে সেই স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তেও পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা।
পিএসজি অনেকটা মরিয়া হয়েই এমবাপ্পেকে প্যারিসে রেখে দেয়। তবে এবারের দলবদল শুরুর আগে এমবাপ্পে চিঠি দিয়ে পিএসজি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, তিনি আগামী মৌসুম খেলেই পিএসজি ছাড়বেন। অর্থ্যাৎ ২০২৪ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে ক্লাব ছাড়তে চান ২৪ বছর বয়সী এই তারকা।
এমবাপ্পের এই চিঠির জবাবে পিএসজি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, তারা নিজেদের সেরা তারকাকে কোনোভাবেই ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ছাড়বে না। এমবাপ্পে যদি চুক্তি নবায়ন না করেন, তবে এবারের দলবদলেই তাঁকে ক্লাব ছাড়তে হবে। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নতুন করে তাঁকে নেওয়ার জন্য আবার মাঠে নামে রিয়াল। শুধু অবশ্য রিয়ালই নয়, এমবাপ্পের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে লিভারপুলের নামও শোনা যায়। তবে এই মুহূর্তে এমবাপ্পেকে নেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ‘লস ব্লাঙ্কোস’ শিবির। আগের দুবার রিয়ালের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও এবার এমবাপ্পেকে দলে টানা নিয়ে আশাবাদী রিয়াল ফরোয়ার্ড রদ্রিগোও।
স্পোর্ট টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলিয়ান এই তারকা বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদে বিষয়টা জটিল। কারণ, প্রতিবছর এমবাপ্পের নাম উঠে আসে, কেইনও। যখন আমি আসি, সবাই তখন পগবাকে নিয় কথা বলছিল। আমার কাছে কোনো কিছু নিয়ে তথ্য নেই। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
এমবাপ্পের বিষয়ে কোনো খবর না থাকলেও রদ্রিগোর আশা তিনি রিয়ালেই আসবেন, ‘আমি আশা করি এমবাপ্পে আসবে। সে আমাদের অনেক সাহায্য করতে পারবে। সে একজন সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু আমরা আর কিছু জানি না।’
এ দিকে ছুটি শেষ করে পিএসজিতে ফিরেছেন এমবাপ্পে। গতকাল প্যারিসের ক্লাবটিতে ফিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে আগামী মৌসুমের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার কাজেও নেমে পড়েছেন। পুরোদমে জিমও শুরু করে দিয়েছেন। জিমে ঢোকার আগে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় নেইমারের। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করেন তিনি। এরপর দুজনে কিছু সময় কথা বলে যাঁর যাঁর কাজে চলে যান।
রদ্রিগো অবশ্য শুধু এমবাপ্পের রিয়ালে আসা নিয়েই নয়, রিয়ালের সামগ্রিক দলবদল নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন, ‘দল বেশ ভালোভাবেই খেলোয়াড় কিনছে। তারা খুব ভালো কাজ করছে। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়ে ভবিষ্যতের জন্য দল গঠন করছে। যারা এখনো দলকে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারবে।’
রিয়ালে এসেই তরুণ রদ্রিগো পেয়েছিলেন স্বদেশি ফুটবল তারকা অভিজ্ঞ মার্সেলোকে। স্বদেশি এই কিংবদন্তির সঙ্গে অবশ্য বেশি সময় খেলা হয়নি তাঁর। তবে যেটুকু সময় কাছে পেয়েছেন, মার্সেলো বেশ মুগ্ধ করেছেন রদ্রিগোকে। নিজের মুগ্ধতা প্রকাশে রদ্রিগো বলেছেন, ‘মার্সেলোকে ব্রাজিলে খেলতে দেখা দারুণ ব্যাপার। এটা আমার দেখা দারুণ বিষয়গুলোর একটি। সে বিশ্বমানের খেলোয়াড়। যখন আমি রিয়াল মাদ্রিদে আসি, তখন সে আমাদের দারুণভাবে মুগ্ধ করেছিল।’