লিভারপুলের দুর্দান্ত জয়
লিভারপুলের দুর্দান্ত জয়

লিভারপুলের গোলবন্যার রাতে অবিশ্বাস্য লেভারকুসেন

লিভারপুল ৬: ১ স্পার্তা প্রাগ (দুই লেগ মিলিয়ে লিভারপুল ১১-২ গোলে জয়ী)

ইউরোপা লিগে স্পার্তা প্রাগের বিপক্ষে শেষ ষোলো প্রথম লেগের ম্যাচটা লিভারপুল যেখানে শেষ করেছিল, ফিরতি লেগটা যেন শুরু করল সেখান থেকেই। প্রথম লেগে প্রাগের বিপক্ষে তাদের মাঠে লিভারপুল ম্যাচ জিতেছিল ৫-১ গোলে। গতকাল রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ফিরতি লেগে ৭ থেকে ১০—এই তিন মিনিটের মধ্যেই লিভারপুল গোল করল তিনটি। ১৪ মিনিটের মাথায় সেটি হয়ে গেল ৪-০। অর্থাৎ ফিরতি লেগ ১৫ মিনিট পেরোনোর আগেই দুই লেগ মিলিয়ে লিভারপুলের লিড ৯-১!

এরপর ম্যাচের আর কি বাকি থাকে! কিন্তু লিভারপুল যেন থামতে রাজি ছিল না। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বয়ে দিচ্ছিল তারা। একপর্যায়ে ধারাভাষ্যকারেরাই বললেন, মনে হচ্ছে দুই লেগ মিলিয়ে লিভারপুল নয় এগিয়ে আছে প্রাগ! যদিও প্রাগ এই ম্যাচে কোথাও ছিল না। এমনকি লিভারপুলের আক্রমণ ঠেকানোর মতো শক্তিও যেন তাদের ছিল না।

কঠিন গোল করে সহজ সুযোগ মিস করা দারউইন নুনিয়েজ এ ম্যাচেও একই ধারাবাহিকতা ধরে না রাখলে বিরতির আগেই লিভারপুল পেতে পারত ৫ গোল। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে পোস্ট ফাঁকা পেয়েও গোল করতে পারেননি উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। বিরতির পর লিভারপুল যোগ করে আরও ২ গোল। সব মিলিয়ে প্রাগের বিপক্ষে লিভারপুলের জয় ৬-১ গোলের। গোলের শুরুটা অবশ্য করেন নুনিয়েজই। এরপর একে একে স্কোরশিটে নাম লেখান ববি ক্লার্ক, মোহাম্মদ সালাহ ও কোডি গাকপো। দ্বিতীয়ার্ধে দমিনিক সোবোসলাই লক্ষ্যভেদের পর গাকপো করেন নিজের দ্বিতীয় গোল।

ম্যাচ শেষে লিভারপুলের তরুণ ডিফেন্ডার কনর ব্রাডলি বলেছেন, ‘এই ক্লাবে সে একমাত্র কোচ, যাকে আমি চিনি। ফলে তার চলে যাওয়া বেদনাদায়ক। আমরা তার জন্য সব শিরোপা জিততে চাই এবং তাঁকে সর্বোচ্চ সেরা বিদায়টা দিতে চাই।’

লেভারকুসেন ৩: ২ কারাবাগ (দুই লেগ মিলিয়ে লেভারকুসেন ৫-৪ গোলে জয়ী)

দে জ্য ভু—বোধ হয় একেই বলে! ইউরোপা লিগের প্রথম লেগে কারাবাগের মাঠে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর যোগ করা সময়ের গোলে ২-২ সমতায় ম্যাচ শেষ করে লেভারকুসেন। সেদিন ৯২ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে ছিলেন প্যাট্রিক শিক। গতকাল দ্বিতীয় লেগেও ৬৭ মিনিটের মাথায় ২-০ গোলের লিড নেয় কারাবাগ। প্রতিদিন কি আর ‘কামব্যাক’ হয়, তাই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মৌসুমে লেভারকুসেনের প্রথম হার দেখছিল অনেকেই।

অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছে লেভারকুসেন

কিন্তু এই লেভারকুসেন এত সহজে হার মানবে কেন? মানেওনি। আক্রমণের পর আক্রমণে ১০ জনের কারাবাগের ওপর সুনামি বয়ে দিল জাবি আলোনসোর দল। ৭২ মিনিটে প্রথম গোল খেলেও কারাবাগ কিন্তু লিড ধরে রেখেছিল যোগ করা সময়ের ৩ মিনিট পর্যন্ত। এরপর আবারও সেই শিকের চমক। এবার যোগ করা সময়ে একটি নয়, তিনি গোল করলেন দুটি। যার শেষটি এল শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগমুহূর্তে।

শিকের জোড়া গোলে বিদায়ের পথে থাকা লেভারকুসেন পেল ৩-২ গোলের অবিশ্বাস্য এক জয়। এ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটিকে ৩৭ ম্যাচে নিয়ে গেল জার্মান ক্লাবটি।

একই রাতে স্লাভিয়া প্রাগকে ৩-১ (দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১) ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট পেয়েছে এসি মিলান।

উয়েফা কনফারেন্স লিগের ম্যাচে আয়াক্সের বিপক্ষে ৪-০ গোলে (দুই লেগ মিলিয়েও ৪-০) জিতেছে অ্যাস্টন ভিলা। এ জয়ে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় শেষ আটের মুখ দেখল ভিলা পার্কের ক্লাবটি। আরেক ম্যাচে ।