বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন

সালাউদ্দিনকে দেওয়া বিএসপিএর সম্মাননা প্রত্যাখ্যান বাফুফের

বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) গত পরশু বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ১০ ক্রীড়াবিদ নির্বাচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির চোখে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় সেরা জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য ও বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। শুক্রবার রাতে সম্মাননা গ্রহণ করেই সালাউদ্দিন ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠান থেকে চলে যান। বাফুফে আজ সম্মাননা প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি জানিয়েছে।

এ পুরস্কার বা সম্মাননা বিএসপিএ দিয়েছে ব্যক্তি সাকিব বা ব্যক্তি সালাউদ্দিনকে। কিন্তু সালাউদ্দিন এটিকে দিয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, যা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি শনিবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির এক সভায় নেওয়া হয়। সভা শেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানেই সালাউদ্দিনের পুরস্কার ও সম্মাননা প্রত্যাখ্যানের কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির ষষ্ঠ নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের কাজী মো. সালাউদ্দিনকে প্রদত্ত দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’

শুক্রবার রাতে সম্মাননা গ্রহণ করেই সালাউদ্দিন ক্ষুব্ধ হয়ে বিএসপিএর অনুষ্ঠান থেকে চলে যান

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সালাউদ্দিনের মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি কিনা একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁকে দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার দেওয়াটা প্রহসনের শামিল। এটা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে অবমাননা এবং একই সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গন তথা ফুটবলসংশ্লিষ্ট সবার জন্য অবমাননাকর।’

সাকিব ও সালাউদ্দিনের পর বিএসপিএর দৃষ্টিতে ক্রমানুসারে বাংলাদেশের সর্বকালের আর আট ক্রীড়াবিদ দাবাড়ু নিয়াজ মোর্শেদ, ফুটবলার মোনেম মুন্না, বক্সার মোশাররফ হোসেন, ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, শুটার আসিফ হোসেন খান, স্প্রিন্টার শাহ আলম, সাঁতারু মোশাররফ হোসেন খান ও গলফার সিদ্দিকুর রহমান।