আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপা–খরা কাটাতে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে লিওনেল মেসির জ্বলে ওঠার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ফাইনালে কি পুরো ফিট মেসিকে পাচ্ছে আর্জেন্টিনা? প্রশ্নটি উঠেছে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের পরই। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩–০ গোলে জেতা ম্যাচের শেষ দিকে আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে দেখা গেছে পায়ের পেছনে হাত দিয়ে নুয়ে থাকতে। তাঁর মুখে ছিল অস্বস্তির ছাপ।
সেমিফাইনাল শেষে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিকে এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিল। সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন—মেসির হ্যামস্ট্রিংয়ে কোনো সমস্যা আছে কি না। স্কালোনি তখন সমস্যার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রশ্নটা আবার সামনে এসেছে গতকাল। আর্জেন্টিনা দল কাল ফাইনালের অনুশীলন শুরু করেছে। সেই অনুশীলনে মেসি ছিলেন না।
ইএসপিএন আর্জেন্টিনার খবর অনুযায়ী গতকাল স্কালোনির দলের অনুশীলনের প্রথম ১৫ মিনিট সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত ছিল। অনুশীলনে মেসিকে না দেখেই তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ের অবস্থা জানার চেষ্টা করেন সাংবাদিকেরা। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হ্যামস্ট্রিংয়ে হালকা সমস্যা আছে মেসির। সেই সমস্যার পরিচর্যা করছেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমের খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চোটের অবনতি না হলে অর্ধেক ফিটনেস নিয়েও মেসি ফাইনালে খেলবেন। ইএসপিএনের খবর, মেসি অনুশীলন না করলেও দলের আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে জিম করেছেন এবং নিজেকে সতেজ করে তোলার চেষ্টায় ছিলেন।
আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা চোট নিয়েই কাতারে পা রেখেছিলেন। আর কাতারে এসে চোটে চোটে পড়েছিলেন উইঙ্গার আনহেল দি মারিয়া। ফাইনালের আগে দুজনই পুরো ফিট হয়ে উঠেছেন। গতকাল দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তাঁরা। কোচ চাইলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে তাঁদের দুজনকেই শুরুর একাদশে খেলাতে পারবেন। তবে চোট থেকে এখনো পুরো সেরে ওঠেননি মিডফিল্ডার পাপু গোমেজ।