গোলের খাতা খুলতে সময় নেননি। প্রাক্–মৌসুম প্রীতি ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে অভিষেকের ১২ মিনিটের মধ্যেই গোল পেয়েছিলেন আর্লিং হলান্ড। তবে পরের ম্যাচেই দেখেছিলেন মুদ্রার অন্য পিঠ। লিভারপুলের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ডে সহজ অনেক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৮৬ গোল করেছেন, গোলে সহায়তা ২৩টি। ‘গোলমেশিন’ তকমাটা এসেছে সেখান থেকেই। সিটি সমর্থকদের প্রত্যাশা, ম্যান সিটিতেও একই রূপে দেখা দেবেন হলান্ড।
‘গোলমেশিন’ হলান্ড গোল তো পাবেনই, তবে সে সংখ্যাটা কত হবে? প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড বইয়ের পাতা কি প্রথম মৌসুমেই ওলটপালট করতে পারবেন হলান্ড? নাকি মানিয়ে নিতে সময় নেবেন কিছুটা। এসব নিয়ে ভাবছেন ম্যান সিটির সমর্থকেরা।
সমর্থকেরা এসব নিয়ে চিন্তিত হলেও ম্যান সিটি কোচ পেপ গার্দিওয়ালা একদমই ভাবছেন না। নতুন লিগে হলান্ডের মানিয়ে নিতে সময় লাগতে পারে, সে বাস্তবতাও মেনে নিয়েছেন দলটির স্প্যানিশ কোচ। তাঁর কথা, ‘আমি জানি না সে (হলান্ড) কত গোল করবে, আমার তা নিয়ে মাথাব্যথাও নেই। আমরা হলান্ডের জন্য জিততে কিংবা হারতে যাচ্ছি না, আমাদের নিজেদের মতো করেই খেলতে হবে। পাঁচ মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে সে প্রথমবার ৯০ মিনিট খেলেছে। সম্ভবত মানিয়ে নিতে তার কিছুটা সময় লাগবে।’
হলান্ড নিজেও প্রিমিয়ার লিগে তাঁর শুরু নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নন। ম্যান সিটিতে খেলা পুরো সময়টাই চান উপভোগ করতে। আর চান নিজের খেলার উন্নতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী রাখতে। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘কেউ সময় নিতে পারে, আবার কেউ দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারে। আমি মোটেই উদ্বিগ্ন নই। এটাই একজন ফুটবলারের জীবন, আপনার এসবের মধ্যেই বাঁচতে হবে। বর্তমানে থাকতে হবে, উপভোগের চেষ্টা করতে হবে।’
হলান্ড এরপর যোগ করেন, ‘আমি সবকিছুতে উন্নতি করতে পারি। কোনো বিষয়ে ভালো হলে আরও ভালো হওয়ার সুযোগ আছে। এটা আমাকে করতেই হবে। তরুণ ফুটবলার হিসেবে পেপ গার্দিওয়ালার অধীনে ইংল্যান্ডের সেরা ক্লাব ম্যান সিটিতে খেলতে হলে অনেক কিছুতেই আমার উন্নতি করতে হবে।’
প্রিমিয়ার লিগে আগামীকাল ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যান সিটির প্রথম ম্যাচেই দেখা যেতে পারে হলান্ডকে। সে ম্যাচেই মিলতে পারে সমর্থকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর।