কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি
কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি

মেসি এমবাপ্পেকে কখনো হারাতে পারেননি

কার জার্সিতে তৃতীয় তারকাটি যোগ হবে? লিওনেল মেসি না কিলিয়ান এমবাপ্পে? রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালেই তা নিশ্চিত হবে।

ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা—দুই দলই দুবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে। এ কারণে মেসি ও এমবাপ্পের জাতীয় দলের জার্সিতে দুটি করে তারকা। লুসাইল স্টেডিয়ামে রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। মেসি ও এমবাপ্পে দুজনেই দেশকে তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতাতে মরিয়া।

দুই দলের এই লড়াইয়ের মোড়কে আসল লড়াই হবে মেসি ও এমবাপ্পের। দুজনই বিশ্বসেরা। তাঁদের মধ্যে কে বেশি ভালো করবেন? সময়ই তা বলে দেবে। তবে দুই তারকার মুখোমুখি হওয়ার অতীত ইতিহাস দেখলে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মন খারাপ হতে পারে।

বিশ্বকাপে এর আগে একবার মেসির মুখোমুখি হয়েছেন এমবাপ্পে। সর্বশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয়। সে ম্যাচে ৪-৩ গোলের জয়ে ফ্রান্স উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। মেসি গোল পাননি। তবে দুটি গোল করিয়েছিলেন। পরে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ফ্রান্স।

বিশ্বকাপের বাইরে ক্লাব ফুটবলে দুবার মেসির মুখোমুখি হয়েছেন এমবাপ্পে। ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয়। মেসি তখনো বার্সেলোনার খেলোয়াড়। ক্যাম্প ন্যুতে প্রথম লেগে পিএসজির ৪-১ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপ্পে। পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছিলেন মেসি।

২০১৮ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় মেসিকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এমবাপ্পে। ম্যাচটা জিতেছিল ফ্রান্স

পিএসজির মাঠে ফিরতি লেগ ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচেও দুই দলের দুই গোলদাতা মেসি ও এমবাপ্পে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলের জয়ে এমবাপ্পের পিএসজিই উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই হারের পাঁচ মাস পরই বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। সতীর্থ হন এমবাপ্পের। পিএসজিতে প্রথম ম্যাচে তেমন ভালো করতে পারেননি। ৩৪ ম্যাচে করেন ১১ গোল। এবার বিশ্বকাপের আগে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল।

গত মৌসুম থেকে এ পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচে একসঙ্গে মাঠে নেমেছেন পিএসজির দুই তারকা। এমবাপ্পের পাস থেকে মেসি করেছেন ১১ গোল। আর মেসির পাস থেকে ১৫ গোল করেছেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকার সঙ্গে পিএসজিতে লিগ ও ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ জিতেছেন মেসি।