আরেকটি রেকর্ডগড়া রাত কাটালেন লামিনে ইয়ামাল
আরেকটি রেকর্ডগড়া রাত কাটালেন লামিনে ইয়ামাল

‘জিনিয়াস’ ইয়ামালের আরেকটি রেকর্ডগড়া রাত

রেকর্ড ভাঙা শুরু করেছেন আগেই। স্পেনের ১৭ বছরের লামিনে ইয়ামালের জন্য গতকাল ছিল রূপকথারই আরেকটি রাত, যে রাতে ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলেকে আরেকবার ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।

বার্লিনের ফাইনালের এক দিন আগে ১৭ পূর্ণ করেছেন স্পেনের ‘বিস্ময়বালক’। ২-১ গোলে জেতা ম্যাচে প্রথম গোলটিতে করেছেন অ্যাসিস্ট, হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরোর শিরোপা জিতেছে স্পেন।

বিশ্বকাপ বা ইউরো—কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল জেতা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় এখন ইয়ামাল। ১৯৫৮ সালে সুইডেনের বিপক্ষে ব্রাজিলের ফাইনাল জয়ের দিন পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন। সে ম্যাচে দুটি গোলও করেছিলেন পেলে।

টুর্নামেন্টের মাঝপথেই অবশ্য একবার পেলেকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন ইয়ামাল। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বড় কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ড হয়েছিল তাঁর। সে সময় ইয়ামালকে অভিনন্দনও জানিয়েছিল পেলে ফাউন্ডেশন।

ইউরোর ফাইনালে লামিনে ইয়ামাল, বার্লিনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে

সব মিলিয়ে এবারের ইউরোতে একটি গোল করার পাশাপাশি চারটি অ্যাসিস্ট করেছেন ইয়ামাল। ১৯৮০ সাল থেকে রাখা রেকর্ডে ইউরোর এক আসরে এর চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট আর কারও নেই। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোর এক আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করা বা সহায়তার রেকর্ডও হয়ে গেছে তাঁর।

স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ইয়ামাল, ‘এটা একটা স্বপ্ন। স্পেনে ফিরে উদ্‌যাপন করতে তর সইছে না। এর চেয়ে ভালো জন্মদিনের উপহার আর পেতে পারতাম না। আমি এখন ফিরে পরিবারের সঙ্গে উদ্‌যাপন করতে চাই।’

টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড় হয়েছেন লামিনে ইয়ামাল

ফাইনাল প্রসঙ্গে ইয়ামাল বলেছেন, ‘তারা (ইংল্যান্ড) সমতা ফেরানোর পর অনেক চাপ তৈরি করেছে। আমি জানি না এ দল কিসে তৈরি, কিন্তু আমরা সব সময়ই ফিরে আসি।’

এবারের ইউরো ছিল ইয়ামালের রেকর্ড গড়ার। টুর্নামেন্টে স্পেনের প্রথম ম্যাচেই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হওয়ার রেকর্ড গড়েন। এরপর ইউরোয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করা এবং অ্যাসিস্ট করার রেকর্ডও নিজের করে নেন। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্পেন কোচ দে লা ফুয়েন্তেও, ‘আমরা একজন জিনিয়াসকে দেখেছি।’