এল ক্লাসিকোয় শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোলের পর বেলিংহামের উচ্ছ্বাস। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে আসছেন সতীর্থরা
এল ক্লাসিকোয় শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোলের পর বেলিংহামের উচ্ছ্বাস। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে আসছেন সতীর্থরা

লা লিগা

সেই বেলিংহামে স্তব্ধ বার্সেলোনা, এল ক্লাসিকো জিতে শীর্ষে রিয়াল

বার্সেলোনা ১–২ রিয়াল মাদ্রিদ

আর কে? জুড বেলিংহাম!

রিয়াল মাদ্রিদ শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছে—আছেন বেলিংহাম, রিয়ালকে ম্যাচে ফেরাতে হবে—আছেন বেলিংহাম, শেষ মুহূর্তে গোল করে রিয়ালকে জেতাতে হবে—আছেন সেই বেলিংহাম। স্প্যানিশ ফুটবলের অভিষেক মৌসুমেই ২০ বছর বয়সী ইংলিশ মিডফিল্ডার ব্যাপারগুলোকে যেন অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন।

লা লিগায় আজ মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতেও তাঁর পায়ের ঝলক দেখা গেল। একবার নয়; দুবার। বেলিংহামে জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়েও বার্সাকে তাদের ‘নতুন ঘর’ এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে স্তব্ধ করে দিল রিয়াল।

২–১ ব্যবধানের ঘুরে দাঁড়ানো এ জয়ে জিরোনাকে সরিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে এল মাদ্রিদের ক্লাবটি। ১১ ম্যাচে কার্লো আনচেলত্তির দলের পয়েন্ট ২৮। চমক দেখাতে থাকা জিরোনার পয়েন্টও ২৮। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে নেমে যেত হলো জিরোনাকে। জাভি হার্নান্দেজের বার্সেলোনা ২৪ পয়েন্টে আটকে থেকে তিনেই রয়ে গেল।

ম্যাচের শুরুতেই বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন গুন্দোয়ান

অথচ ম্যাচের ৬ মিনিটেই বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ইলকাই গুন্দোয়ান। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গত মৌসুমে ট্রেবলজয়ী তারকার এটাই বার্সার হয়ে প্রথম গোল। এ গোলে দায় আছে রিয়াল ডিফেন্ডার ডেভিড আলবারও। স্লাইডে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করে পারেননি আলাবা। বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ওয়ান-অন-ওয়ানে লক্ষ্যভেদ করেন গুন্দোয়ান।

শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে বার্সা। ১৬ মিনিটে নিজেদের ভুলে আবারও গোল খেতে বসেছিল রিয়াল। নিজেদের ডি বক্সের একটু বাইরে তারা দখল হারালে বল পেয়ে যান ফেরমিন লোপেজ। তাঁর শট পোস্টে বাঁধা পাওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় রিয়াল।

প্রথমার্ধে রিয়ালের খেলা ছিল ধীরগতির, দূরপাল্লার শটে কয়েক দফা সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেন ভিনিসিয়ুস–রদ্রিগোরা; যদিও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

তবে বিরতির পর আক্রমণে জোর দেয় রিয়াল। ৬৮ মিনিটে গোলও পেয়ে যায়। দূরপাল্লার বুলেট গতির শটে দলকে সমতায় ফেরান বেলিংহাম। গোলটা দেখে মাঠে থাকা বার্সার খেলোয়াড়েরা যেমন ভড়কে যান, গ্যালারিতে থাকা সমর্থকেরা হয়ে পড়েন বাকরুদ্ধ।

ম্যাচটা যখন ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল, তখনই বেলিংহাম তাঁর আসল খেল দেখান। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ক্রস বাড়ান দানি কারভাহাল। সেটা লুকা মদরিচের পায়ে লেগে খুঁজে নেয় ফাঁকায় দাঁড়ানো বেলিংহামকে। ডান পায়ের আলতো টোকায় অনায়াসে বার্সার জাল কাপান তরুণ মিডফিল্ডার।

ম্যাচ শেষে বেলিংহামকে প্রশংসায় ভাসাতে গিয়ে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেছেন, ‘ওকে দেখে অনেক অভিজ্ঞ ও পরিপক্ব মনে হয়। যে গোলে সে দলকে সমতায় ফিরিয়েছে, সেটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’