বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলার প্রক্রিয়ায় আরেকটু এগোলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলারের জন্য ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) কাছে বাফুফে যে অনাপত্তিপত্র চেয়েছিল, সেটি পাওয়া গেছে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইমরান হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহের শেষ দিকে এফএ হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার ব্যাপারে অনাপত্তিপত্র বাফুফেকে পাঠিয়েছে। এখন আমরা ফিফার অনুমতি চাইব। সেখানে এফএর অনাপত্তিপত্রসহ আরও কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে। প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর সবুজসংকেত পেলেই হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন।’
হামজাকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলানোর প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ছিল হামজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট করানো। সেটি তিনি হাতে পাওয়ার পর ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) অনুমতিও পাওয়া গেল।
হামজা বাংলাদেশি পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন গত জুন মাসে। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে তাঁর পাসপোর্ট এসে গিয়েছিল মাসখানেকের মধ্যেই। কিন্তু লেস্টার সিটির হয়ে প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্টটা গ্রহণ করতে পারছিলেন না হামজা। অবশেষে ২৩ আগস্ট হামজার পক্ষে পাসপোর্টটি গ্রহণ করেন তাঁর মা রাফিয়া চৌধুরী। এই মৌসুমে লেস্টারের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে একটি এবং লিগ কাপে একটি ম্যাচ খেলেছেন হামজা।
হামজাকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলানোর প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ছিল হামজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট করানো। সেটি তিনি হাতে পাওয়ার পর ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) অনুমতিও পাওয়া গেল। ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমতি পেলে বাকি থাকবে তাঁর ক্লাব লেস্টার সিটির অনুমতি। বাফুফে আশা করে বাকি দুটি অনুমতির প্রক্রিয়া দ্রুতই সম্পন্ন হবে।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে এফএ হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার ব্যাপারে অনাপত্তিপত্র বাফুফেকে পাঠিয়েছে। এখন আমরা ফিফার অনুমতি চাইব।ইমরান হোসেন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক
হামজা চৌধুরী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিস্টার সিটির হয়ে খেলেন। তাঁর পরিবার বাংলাদেশি। পরিবার ও নিজের ইচ্ছায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে প্রথমে প্রয়োজন পাসপোর্ট। বাফুফে ও তাঁর পরিবার যৌথ প্রচেষ্টায় পাসপোর্ট করেছে।