জিরোনার কাছে বার্সার হারে চার ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে রিয়ালকে
জিরোনার কাছে বার্সার হারে চার ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে রিয়ালকে

লা লিগা

জিরোনার কাছে বার্সার হার, চার ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ

জিরোনা ৪: ২ বার্সেলোনা

কাদিজকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কাজটা এগিয়ে রেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কাজটা ৩৬তম লিগ শিরোপা জয় উদ্‌যাপনের। রিয়ালের অপেক্ষা ছিল শুধু দিনের পরের ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার পা হড়কানোর। বার্সা পয়েন্ট হারালেই যে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। শনিবার জিরোনার কাছে হেরেই বসেছে বার্সা। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে চার ম্যাচ হাতে রেখেই রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে লা লিগায় জিরোনার কাছে ৪-২ গোলে হেরেছিল বার্সা। পাঁচ মাস পর জিরোনার মাঠেও ফিরতি ম্যাচে ৪-২ গোলে হারল জাভি হার্নান্দেজের দল। অথচ আজ দুই দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিনসেনের গোলে এগিয়ে যাওয়া দলটি প্রথমার্ধ শেষে করে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে।  

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের এক ঝড়ে বার্সাকে লন্ডভন্ড করে দেয় এবারের লা লিগার চমক জিরোনা। ৬৫ মিনিটে পোর্তুর গোলে সমতা ফেরায় জিরোনা। পর্তুগিজ উইঙ্গার বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন কয়েক সেকেন্ড আগেই।

জিরোনার জয়ের নায়ক পোর্তু। পর্তুগিজ উইঙ্গার দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমেই ৯ মিনিটের মধ্যে করেছেন ২ গোল

এই গোলের ২ মিনিট যেতে না যেতেই জিরোনাকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ লেফটব্যাক মিগুয়েল গুতিয়েরেজ। এই গোলেও অবদান ছিল পোর্তুর। শেষ পাসটা যে পোর্তুই দিয়েছেন। ৭৪ মিনিটে আবার গোলের খাতায় নাম পোর্তুর। ২৪ বছর বয়সী খেলোয়াড় বার্সা সমর্থকদের স্তব্ধ করে দারুণ এক ভলিতে জিরোনাকে চতুর্থ গোলটি এনে দেন।

এর আগে ক্রিস্টেনসেনের গোলের বার্সা এগিয়ে যাওয়া এক মিনিট পরেই সমতা এনেছিল জিরোনা। গোলটি করেন আর্তেম দোভবিক। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি গোলে বার্সাকে এগিয়ে দেন পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডফস্কি।

ম্যাচের প্রথম গোলটি দিয়েছিল বার্সেলোনাই

রিয়ালের শিরোপা নিশ্চিত করা জয়টি জিরোনাকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠিয়ে এনেছে। ৩৪ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ৭৪। আগামী মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলাও নিশ্চিত করেছে জিরোনা। সমান ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের পয়েন্ট ৮৭। আর তিনে নেমে যাওয়া বার্সার পয়েন্ট ৩৪ ম্যাচে ৭৩।