ম্যাচ শেষে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন দারউইন নুনিয়েজ
ম্যাচ শেষে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন দারউইন নুনিয়েজ

দ্বিতীয়ার্ধে ‘স্বরূপে’ লিভারপুল, নুনিয়েজের অন্যরকম প্রথম

বোর্নমাউথ ০–৪ লিভারপুল

স্কোরলাইন দেখে যতটা একপেশে ম্যাচ মনে হচ্ছে, ততটা আসলে নয়। প্রথমার্ধে লিভারপুলকে কঠিন পরীক্ষাতেই ফেলেছিল বোর্নমাউথ। ঘরের মাঠ ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে জমাট রক্ষণে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে তেমন কোনো সুযোগই দেয়নি বোর্নমাউথ।

কিন্তু এবারের মৌসুমে লিভারপুল যেন এক বদলে যাওয়া দল। একাধিক খেলোয়াড়ের চোট, জাতীয় দলের খেলা থাকায় মোহাম্মদ সালাহ–ওয়াতারু এন্দোদের অনুপস্থিতি কোনো কিছুই অলরেডদের টলাতে পারছে না। পারেনি বোর্নমাউথও। বিরতির পর কৌশল বদলে ঠিকই স্বরূপে হাজির লিভারপুল। গুনে গুনে করল ৪ গোল। তাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত হলো অলরেডদের।

বোর্নমাউথকে আজ উড়িয়ে দেওয়ার পর ২১ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৪৮, দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান এখন ৫ পয়েন্টের। সিটি অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে। ২১ ম্যাচে আর্সেনাল ও অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্টও সিটির সমান ৪৩। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় আর্সেনাল তিনে ও ভিলা চারে অবস্থান করছে।

লিভারপুলের হয়ে দুটি করে গোল করেছেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড দারউইন নুনিয়েজ ও পর্তুগিজ উইঙ্গার দিয়োগো জোতা। গোল উৎসবের শুরু আর শেষটা করেছেন নুনিয়েজই। এর মাঝে ‘স্যান্ডউইচ’ হয়ে আছে জোতার জোড়া গোল। ৪৯ মিনিটে জোতার দারুণ পাস থেকেই দলকে এগিয়ে দেন নুনিয়েজ। জোতা গোল দুটি করেন ৭০ ও ৭৯ মিনিটে।

যোগ করা সময়ে বোর্নমাউথের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়ে অন্যরকম প্রথমের জন্ম দিয়েছেন নুনিয়েজ। প্রিমিয়ার লিগে খেলা প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এবারের মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কমপক্ষে ১০টি গোল ও ১০টি গোলে সহায়তার কীর্তি গড়েছেন ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

অথচ গোলখরার কারণে এই নুনিয়েজ ওপর থেকে আস্থা প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন ক্লপ। বেশ কয়েকটি ম্যাচে তাঁকে বসিয়েও রেখেছিলেন। তবে গত ২৬ ডিসেম্বর বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরুর একাদশে ফেরার পর থেকে নুনিয়েজ যেন ছন্দটাও ফিরে পেয়েছেন। এখন তো সালাহর অভাবও বুঝতে দিচ্ছেন না।

লিভারপুলের জয়ের রাতে আরেকটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন নুনিয়েজ। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে আজ তিনি নিজের ১০০তম গোল পূরণ করেছেন। আজ তাঁর দ্বিতীয় গোলটি ছিল লিভারপুলের জার্সিতে ২৫তম। এ ছাড়া বেনফিকার হয়ে ৪৮টি, পেনারোলের হয়ে ৪টি, আলমেরিয়ার হয়ে ১৬টি এবং জাতীয় দল উরুগুয়ের হয়ে করেছেন ৮টি গোল।

এ নিয়ে ২০২২ সালের পর প্রথমবার প্রতিপক্ষের মাঠে কোনো গোল না খেয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল লিভারপুল।