শিরোপা জয়ের পর ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ২১ দল
শিরোপা জয়ের পর ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ২১ দল

নাটকীয় লড়াইয়ে স্পেনকে হারিয়ে ছোটদের ইউরো জিতল ইংল্যান্ড

২০২১ সালে বড়দের ইউরোর ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল ইংল্যান্ড। বড়দের সেই না পারার আক্ষেপ দুই বছর পর মেটাল ছোটরা। নাটকীয় এক লড়াই শেষে ৩৯ বছর পর অনূর্ধ্ব–২১ ইউরোর শিরোপা জিতল ইংলিশরা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে স্পেনকে ইংল্যান্ড হারিয়েছে ১-০ গোলে। এ প্রতিযোগিতায় এটি ইংল্যান্ডের তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোর শিরোপা ঘরে তুলেছিল তারা।

শেষ মুহূর্তে দারুণভাবে পেনাল্টি ঠেকিয়ে জয়ের নায়ক হয়েছেন গোলকিপার জেমস ট্রাফোর্ড। ট্রাফোর্ড ৯৯ মিনিটে আবেল রুইজের পেনাল্টি ঠেকিয়ে না দিলে সমতায় ফিরতে পারত স্পেন, আর তখন ম্যাচও চলে যেত অতিরিক্ত সময়ে। এর আগে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি আসে কার্টিস জোন্সের কাছ থেকে। ম্যাচে ফেরার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে স্পেন বেশ চেষ্টা করেও আলোর মুখ দেখেনি। শেষ দিকে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে ম্যাচে। ১০০ ও ১০১ মিনিটের মাথায় দুই দলেরই একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেছেন।

টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলা স্পেন এই ম্যাচেও খেলেছে দাপুটে ফুটবল। ৬৫ শতাংশ বলের দখল রেখে ২১টি শট নিয়ে একবার বল জালে জড়াতে পারে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রুইজের সেই গোল বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের ফাঁদে পড়ে। এই টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ১৩ গোল করেছে স্পেন দল, কিন্তু ফাইনালে এসে কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর পায়নি তারা।

অন্যদিকে, ম্যাচের বেশির ভাগ সময় চাপে থাকলেও সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নিয়েছেন লি কার্সলের শিষ্যরা। শিরোপা জয়ের সঙ্গে ইংল্যান্ড আরও একটি রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ৬ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি ইংলিশরা।

শিরোপা জয়ী ইংল্যান্ড দল

ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের নায়ক ট্রাফোর্ড জানান, পেনাল্টি সেভ করা নিয়ে আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি সকালেই সবাইকে বলেছি, পেনাল্টি বাঁচাতে যাচ্ছি। আমি জানতাম, যখনই পেনাল্টি আসবে, আমি সেটা বাঁচাব।’

ইংলিশদের শিরোপা জয়ের নেপথ্য নায়ক কার্সলের আনন্দও এদিন বাঁধ ভেঙেছে। শিরোপা জয়ের প্রতিক্রিয়ায় ইংল্যান্ড কোচ বলেছেন, ‘আমার ধারণা, এই জয় তাদের (ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের) পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসবে। দলটি দেখিয়েছে, তারা জিততে পারে। আমরা কোনো ক্লাব দল নই, কিন্তু আমরা যদি আরও এক মাস একসঙ্গে কাজ করতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলতে পারতাম।’

কাছাকাছি গিয়েও শিরোপা জিততে না পারলেও হতাশ নন স্পেন কোচ সান্তি দেনিয়া। তিনি বলেছেন, ‘এটা সত্যি যে আমরা সোনা জিততে চেয়েছিলাম। কিন্তু যা পেয়েছি, তা–ও অনেক মূল্যবান।’