আর্সেনালের দুই গোলদাতা বুকায়ো সাকা ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লর সঙ্গে গ্রানিত জাকা
আর্সেনালের দুই গোলদাতা বুকায়ো সাকা ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লর সঙ্গে গ্রানিত জাকা

এভারটনকে উড়িয়ে দিয়ে সিটিকে আরও পেছনে ফেলল আর্সেনাল

এই না হলে শীর্ষ দল! ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা-দৌড়ে এগিয়ে থাকা আর্সেনালের সামনে দাঁড়াতেই পারল না এভারটন। মিকেল আরতেতার দল ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে এভারটনকে। এ জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গেল গানাররা।

আর্সেনালের জয়ে জোড়া গোল করেছেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। একটি করে গোল করেন বুকায়ো সাকা ও মার্টিন ওডেগার্ড। এই জয়ে ২৫ ম্যাচ শেষে আর্সেনালের পয়েন্ট ৬০, আর সমান ম্যাচে ম্যান সিটির পয়েন্ট ৫৫।

এমিরেটসে এদিন বিব্রতকর এক রেকর্ড সঙ্গী করে মাঠে নামে এভারটন। ১৯৮৬ সালের পর অ্যাওয়েতে তারা কখনোই শীর্ষে থাকা দলটিকে হারাতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে এদিনও শুরু থেকে সংগ্রাম করতে থাকে তারা। প্রথম মিনিট থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আর্সেনাল। মাঝমাঠের দখল রেখে আক্রমণের যাওয়ার চেষ্টা করে গানাররা। তবে বলের দখল পুরোপুরি রাখতেও পারছিল না লন্ডনের দলটি।

বলের দখল হারিয়ে প্রতি-আক্রমণ থেকে একবার গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় আর্সেনাল। দ্রুত সামলে নিয়ে অবশ্য বেশ কয়েকবার গানাররাও হানা দেয় এভারটনের ডি-বক্সে। তবে গোল ধরা দিচ্ছিল না কোনোভাবে।

মাঝমাঠে আক্রমণগুলো গুছানো হলেও, অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে বারবার খেই হারাচ্ছিল গানাররা। প্রথম ২৮ মিনিটে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। উল্টো প্রতি আক্রমণ থেকে গোল খেতে খেতে বেঁচেছে একাধিকবার।

কিছু কৃতিত্ব অবশ্য দুই দলের রক্ষণকেও দিতে হয়। দুই দলই রক্ষণের আশপাশে দারুণ বর্ম তৈরি করে রেখেছিল, যা ভেদ করতে পারছিল না কেউই। আর্সেনাল অবশ্য প্রতি মুহূর্তে এভারটনকে চাপে রাখার চেষ্টা করছিল। তেমনই এক চাপে শেষ পর্যন্ত ৪০ মিনিটে ভেঙে পড়ে এভারটন রক্ষণ।

জিনচেঙ্কোর পাসে কাছের পোস্টে দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন বুকায়ো সাকা। যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষ এভারটনের রক্ষণ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে দারুণ ফিনিশিংয় আর্সনোলকে জোড়া গোলে এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। শুরুতে অবশ্য অফসাইডের অভিযোগে বাতিল করা হয় সেই গোল। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল বহাল রাখেন রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে আর্সেনাল। এ সময় প্রায় ৭০ শতাংশ বলের দখল ছিল আর্সেনালের কাছে। যদিও তা তৃতীয় গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না।

এরপরও অবশ্য চেষ্টা চালিয়ে যায় তারা। একাধিক গোলের সুযোগও এসেছিল সামনে। তবে তৃতীয় গোলটি যেন কোনোভাবেই আসছিল না। শেষ পর্যন্ত সেই গোল ধরা দেয় মার্টিন ওডেগার্ডের সৌজন্যে। লিওয়ানদ্রো ট্রসার্ডের পাসে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে ওডেগার্ড । আর ৮০ মিনিটে আর্সেনালের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন মার্তিনেল্লি।

এমন উদ্‌যাপন তো আর্সেনালকেই মানায়

অন্যদিকে এভারটনের সামনেও এসেছিল গোলের সুযোগ। তবে সেসব সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আসের্নাল।