বয়স ৩০ পেরোতেই ‘বুড়ো’ ডাকা শুরু হয় ফুটবলারদের। ৩৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা ৩৫ পেরোনো লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার গোধূলিলগ্নে থাকার কথাও শোনা যায় হরহামেশা। সেখানে ৫৫ পেরোনো কারও পেশাদার ফুটবল খেলার বিষয়টি চোখ কপালে তোলার মতোই বটে।
অবিশ্বাস্য হলেও বছরের পর বছর ধরে পেশাদার ফুটবল খেলে যাচ্ছেন জাপানের কাজুইউশি মিউরা। শীতকালীন দলবদলে মিউরা ধারে জে লিগের ক্লাব ইউকোহামা এফসি থেকে যোগ দিয়েছেন পর্তুগালের দ্বিতীয় সারির দল অলিভিয়েরেন্সেতে।
চলতি মাসেই ৫৫ পেরিয়ে ৫৬–তে পা দেবেন মিউরা। এর মধ্যেই ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে নিজের ৬ষ্ঠ দেশ হিসেবে পর্তুগালকে বেছে নিয়েছেন এই ফুটবলার। এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে তিনি ব্রাজিল, জাপান, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন।
১৯৮২ সালে বয়সভিত্তিক ফুটবল এবং ১৯৮৬ সালে মূল দলের হয়ে ফুটবলের পথে নিজের যাত্রা শুরু করেন মিউরা। তাঁর প্রথম ক্লাব ছিল ফুটবলের রাজাখ্যাত পেলের ক্লাব সান্তোস। ৩৭ বছরে সব মিলিয়ে ১৫টি ক্লাবে খেলেছেন মিউরা। যেখানে দুই মেয়াদে খেলেছেন সান্তোসে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ৫৬তম জন্মদিন উদ্যাপন করতে যাওয়া মিউরা নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যদিও এটা আমার জন্য নতুন জায়গা, তবে যে ধরনের খেলার জন্য আমি পরিচিত, সেটা খেলতে কঠোর পরিশ্রম করে যাব।’
ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা মিউরা এর আগে বলেছিলেন, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ফুটবল চালিয়ে যেতে চান। জাপানি এই ফুটবলার গত মৌসুমে ধারে খেলেছিলেন জাপানের চতুর্থ সারির ক্লাব সুজুকা পয়েন্ট গেটের্সে। যেখানে ১৮ ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ২ গোল। জাপানের পেশাদার লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করা ফুটবলারও মিউরা।
২০১৭ সালে ৫০ বছর ১৪ দিন বয়সে গোল করে এই কীর্তি নিজের করে নিয়েছেন এই ফুটবলার। জাপানে সবচেয়ে পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবেও পরিচিত মিউরা, তাঁকে আদর করে ‘কিং কাজু’ বলে ডাকা হয়। জাপান জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। এ সময়ের মধ্যে ৮৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ৫৫ গোল।