নেদারল্যান্ডসের কিংবদন্তি গোলরক্ষক এডউইন ফন ডার সার সেরে ওঠার পথে
নেদারল্যান্ডসের কিংবদন্তি গোলরক্ষক এডউইন ফন ডার সার সেরে ওঠার পথে

আইসিইউ থেকে ছাড়া পেলেন ফন ডার সার

পরিবার নিয়ে ক্রোয়েশিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে ৭ জুলাই স্ট্রোকের শিকার হন এডউইন ফন ডার সার। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে হেলিকপ্টারে করে নিতে হয়েছিল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।

সেখানে বেশ কয়েক দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ধীরে ধীরে সেরে ওঠার পথে। এরই মধ্যে আইসিইউ থেকে ছাড়াও পেয়েছেন। কিংবদন্তি এই ডাচ গোলরক্ষক নিজেই সুখবরটা দিয়েছেন।

গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রী আনেমেরি ফন কেস্টেরেনের সঙ্গে একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেছেন ফন ডার সার। সে সময় হাসপাতালের কেবিনের বিছানায় বিশ্রাম করছিলেন।

ক্যাপশনে ৫২ বছর বয়সী সাবেক গোলরক্ষক লিখেছেন, ‘সুন্দর ও সহায়ক বার্তা পাঠানোর জন্য প্রথমেই সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেই। যা-ই হোক, এখনো হাসপাতালেই আছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে বাড়ি ফিরে পুরোপুরি সেরে ওঠার কাজ শুরু করতে পারব।’

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর এটাই ফন ডার সারের প্রথম বার্তা। এর আগে তাঁর স্ত্রী আনেমেরি ও সাবেক ক্লাব আয়াক্সের পক্ষ থেকে চিকিৎসার সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়েছে।

আনেমেরিও ২০০৯ সালে স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন। পরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এর দুই বছর পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়েন ফন ডার সার। ইউনাইটেডে ৬ বছরের ক্যারিয়ারে চারবার প্রিমিয়ার লিগ ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন তিনি।

তবে তাঁর উত্থান হয় আয়াক্সে থাকাকালে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ডাচ ক্লাবটির হয়ে চারবার শীর্ষ লিগ জেতার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন। টানা চারবার পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের বর্ষসেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩০ ম্যাচ।

৭ বছর আয়াক্সের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন ফন ডার সার

ইউনাইটেড ছাড়ার পরের বছর ২০১২ সালে আয়াক্সের বোর্ডে যোগ দিয়ে ২০১৬ সালে ক্লাবের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে গত মে মাসে ক্লাবের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে এই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ডাচ লিগে তৃতীয় হওয়ায় ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে আয়াক্স।