চার বছর পর আবারও বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পে, উগো লরিসদের সামনে এখন টানা দুই বিশ্বকাপজয়ের হাতছানি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে যে রেকর্ড আছে ইতালি আর ব্রাজিলের, সেই কীর্তিতে নাম লেখাতে ফ্রান্সের শেষ প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা।
১৮ ডিসেম্বর লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে হবে শিরোপানির্ধারণী সেই লড়াই।
তবে শিরোপা ধরে রাখাটা যে সহজ হবে না, সেটি বেশ ভালো করেই জানেন ফ্রান্স অধিনায়ক উগো লরিস। আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ শুরু করেছিল সৌদি আরবের কাছে হার দিয়ে। এর পর প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের মতো করে খেলেছেন লিওনেল মেসিরা।
টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, আর্জেন্টাইনদের খেলায় তত ধার বেড়েছে। ফাইনালে জায়গা করার পথে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস আর সেমিফাইনালে গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার মতো প্রতিপক্ষকে হারিয়ে এসেছে তারা।
টানা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল খেলা এই আর্জেন্টিনাকে নিয়েই যত ভাবনা ফ্রান্স অধিনায়কের। সেই সঙ্গে ৩৫ বছর বয়সে তারুণ্যের দ্যুতি ছড়ানো মেসিও দিচ্ছেন বাড়তি ভাবনার চাপ।
মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর লরিসের কণ্ঠে শোনা গেল তাই সতর্কতার সুর, ‘আর্জেন্টিনা অনেক বড় দল। কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারে, সেটা তারা দেখিয়েছে। আর মেসির মতো একজন খেলোয়াড় আছে তাদের, ফুটবল খেলাটায় যে ছাপ রেখে দিয়েছে। একটা দারুণ ম্যাচ হওয়ার সব উপকরণই আছে ফাইনালে। সবকিছু নিজেদের পক্ষে রাখার চেষ্টা করব আমরা।’
চার বছর আগে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জেতা ফ্রান্স এবারের আসরে একটি ম্যাচেই হেরেছে। সেটি ছিল দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিসিয়ার কাছে। এর পর শেষ ষোলোয় পোল্যান্ড, কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড, সর্বশেষ মরক্কোকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা।
দিদিয়ের দেশমের দলটির হয়ে সেমিফাইনালে গোল করেছেন ডিফেন্ডার থিও এরনান্দেজ ও বদলি নামা ফরোয়ার্ড রান্দাল কোলো মুয়ানি। উসমান দেম্বেলের জায়গায় নামা মুয়ানি মাত্র ৪৪ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেন।
২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডও এখন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনাল খেলার অপেক্ষায়, ‘আশা করি আমরা শেষ পা-ও ফেলতে পারব। ফাইনাল শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, ফাইনাল মানে জেতার ম্যাচ। জয়ের ক্ষুধা আর প্রত্যয় নিয়েই খেলব আমরা।’