সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে অনুশীলনে কানাডা দল
সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে অনুশীলনে কানাডা দল

মেসির আর্জেন্টিনার সামনেও বড় স্বপ্ন কানাডার 

বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে সেমিফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সামনে কানাডা।

সেমিফাইনালে কানাডা—এবারের কোপা আমেরিকা শুরুর আগে কানাডিয়ানরাও এমনটা ভাবতে পেরেছিলেন কি না, সন্দেহ! তবে যা হওয়ার নয়, তা–ই যদি না হয়, তবে আর লোকে খেলা দেখে কেন। অসম্ভবকে সম্ভব করে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ওঠা সেই কানাডার চোখে এখন আরও বড় স্বপ্ন—ফাইনাল। 

কানাডিয়ানদের স্বপ্ন পূরণে সেমিফাইনালে যারা বাধা, সেই আর্জেন্টিনার জন্য ফাইনাল কোনো স্বপ্ন নয়; বরং কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন না হতে পারাটাই ব্যর্থতা দলটির জন্য। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাই বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ১ নম্বর দলও তারা। তাদের চেয়ে ৪৭ ধাপ পিছিয়ে থাকা কানাডাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে আর্জেন্টিনা ফাইনালে যেতে না পারলে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম বড় অঘটন হিসেবেই জায়গা পেয়ে যাবে সেটি। 

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভোগা অধিনায়ক মেসি এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি কোপা আমেরিকায়। তবে সেটি বড় কোনো বাধা হতে পারেনি আর্জেন্টিনার পথচলায়। 

গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচই জেতা আর্জেন্টিনাকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা দিতে হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বীরত্বে টাইব্রেকারে ইকুয়েডরিয়ানদের পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার অনুশীলনে লিওনেল মেসি

আক্রমণভাগে লাওতারো মার্তিনেজ আছেন দুর্দান্ত ফর্মে, এখন পর্যন্ত ৪ গোল করেছেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার। আরেক মার্তিনেজ, লিসান্দ্রোর নেতৃত্বে দুর্দান্ত খেলেছে আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগও। দলটির মিডফিল্ডেও বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের অভাব নেই। সব মিলিয়েই আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখতে অনেকে সাহসী হতে হচ্ছে কানাডাকে।

কোপা আমেরিকা এবার শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচ দিয়েই। ম্যাচটা ২-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচের কথা মনে রেখেই কানাডার মার্কিন জেসি মার্শ বললেন আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ হিসেবে কতটা কঠিন, ‘আর্জেন্টিনার ম্যাচটি এমনভাবে খেলতে হবে যেন সেটি আমাদের সর্বকালের সেরা ম্যাচ হয়।’

আর্জেন্টিনার জন্য হুমকি দিয়ে উঠতে পারেন কানাডার উইংব্যাক আলফোন্সো ডেভিস

দলটির তারকা উইংব্যাক আলফোন্সো ডেভিসও বলেছেন, ‘আমরা জানি, সব পাওয়ার ম্যাচ এটি। জিতলে সামনে এগিয়ে যাব, হারলে বাড়ি ফিরতে হবে। তারা সবকিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তবে আমরা আগের চেয়েও বেশি ক্ষুধার্ত। আমরা একটা জমজমাট লড়াই আশা করছি, তারাও নিশ্চিত এটাই চায়।’

আলফোন্সো বলছেন বটে, মেসিরা নিশ্চিত কানাডাকে সহজেই হারিয়ে উঠতে চাইছেন ফাইনালে। এবারের কোপার আগে একবারই দেখা হয়েছিল দুই দলের। ২০১০ সালে বুয়েনস এইরেসে প্রীতি ম্যাচটি আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৫–০ গোলে।