ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেভিয়ার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন দেখতে হয়েছে টেন হাগকে। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে সেভিয়ার বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
নিজেদের দেওয়া দুটি আত্মঘাতী গোলে সেভিয়ার সঙ্গে ২–২ ব্যবধানে ড্র করতে হয়েছে। সব ভুলে যে পরের ম্যাচে মনোযোগ দেবেন ইউনাইটেড কোচ, সেই সুযোগ কোথায়? এখন টেন হাগের চিন্তার সবটা জুড়ে যে ফুটবলারদের চোট।
চোটের কারণে রোববার নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আগেই ছিটকে গেছেন মার্কাস রাশফোর্ড, লুক শ, আলেহান্দ্রো গারনাচো, স্কট ম্যাকটিমনে, ডনি ভ্যান ডে বিক। গতকাল ইউরোপা লিগের ম্যাচের পর এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন—লিসান্দ্রো মার্তিনেজ, রাফায়েল ভারান। এই দুই ফুটবলারের মধ্যে মার্তিনেজের চোটটা বেশ গুরুতরই মনে হচ্ছে।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে চোটে পড়েন মার্তিনেজ। আর্জেন্টাইন এই ডিফেন্ডারকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সেভিয়ার দুই আর্জেন্টাইন সতীর্থের কাঁধে ও স্ট্রেচারে করে। আগেই পাঁচজন বদলি খেলোয়াড় ব্যবহার করায় মার্তিনেজের বদলি হিসেবে কাউকে নামাতেও পারেননি টেন হাগ। বাকি সময়ে খেলতে হয়েছে ১০ জনকে নিয়ে।
অনেকেই ধারণা করছেন একিলিসের চোটে পড়েছেন এই আর্জেন্টাইন। যদিও টেন হাগের দাবি ভিন্ন, ‘প্রতিপক্ষের কোনো ফুটবলার জড়িত ছিল না। দেখে ভালো মনে হচ্ছে না, কী হয়েছে জানতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটা আসলে ওই জায়গায় না। নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, তবে একিলিসের জায়গা ওটা না। আমার মনে হয় না, সে রোববার খেলতে পারবে। দেখে তাই মনে হচ্ছে।’
অন্যদিকে সেভিয়ার বিপক্ষে গতকাল প্রথমার্ধেই চোট অনুভব করেন ভারানে। বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেননি ভারানে। ফরাসি এই ডিফেন্ডারের চোট নিয়ে টেন হাগ বলেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরেই চোটের ব্যাপারে সে অভিযোগ করে আসছে। বিষয়টা আমাদের ভালোভাবে দেখতে হবে।’