আর্লিং হলান্ডের দিকে সবার চোখ ছিল। কিন্তু কাল রাতে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় তারকা ছিলেন বোতলবন্দী। মাঠে তাঁকে বল পায়ে খুব কমই দেখা গেছে। তবে এর মধ্যেই কাজ সেরে দিয়েছেন সিটির পরীক্ষিত সৈনিক কেভিন ডি ব্রুইনা। দুর্দান্ত এক গোলে সিটিকে সমতায় ফিরিয়েছেন। প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগটা তাই সেমিফাইনালের অঘোষিত ‘ফাইনাল’ই।
এবারের মৌসুমে সিটির জার্সিতে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হলান্ডের গোল ৫১টি। কিন্তু কাল এই ‘গোল মেশিন’কে স্তব্ধ করে রেখেছিলেন রিয়ালের দুই রক্ষণসেনা আন্তোনিও রুডিগার আর ডেভিড আলাবা। ম্যাচে একটাই সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। কিন্তু আলাবা জানপ্রাণ দিয়ে সেই সুযোগ ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
কিন্তু ডি ব্রুইনাকে ঠেকানো যায়নি। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার যে ম্যানচেস্টার সিটির কত বড় সম্পদ, পেপ গার্দিওলার কত বড় অস্ত্র, সেটি চমৎকার এক গোলেই দেখিয়ে দিয়েছেন। অথচ গোলটির আগে ডি ব্রুইনাকে কিছুটা ছন্দহীনই মনে হচ্ছিল। রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার কোনো উপায় ছিল না শটটি ঠেকানোর।
ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই ডি ব্রুইনার প্রসঙ্গ এসেছে গার্দিওলার সংবাদ সম্মেলনে। ডি ব্রুইনার প্রশংসা করে সিটি কোচ বলেছেন, ‘ডি ব্রুইনা আমাদের অনেক বড় এক সম্পদ। সে দুর্দান্ত এক খেলোয়াড় এবং সে নিজেকে তখনই উজাড় করে দেয়, যখন তাঁকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়ই কাল গোলটি করেছেন ডি ব্রুইনা। রিয়াল মাদ্রিদ তখন বল দখলে রেখে খেলায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। ম্যানচেস্টার সিটিকেও তেমন আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল না। গার্দিওলাও স্মরণ করেছেন ওই মুহূর্তটির কথাই, ‘আমরা ওই সময় বেশ ধুঁকছিলাম। রিয়াল সে সময় বলের দখল ধরে রেখেছিল। গোলটি করে ডি ব্রুইনা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমরা সে সময় রিয়ালকে চোখ রাঙিয়েছি।’
গতকালের গোলটি ছিল সিটির হয়ে ডি ব্রুইনার ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল। তিনি এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড়, যিনি রিয়ালের বিপক্ষে দুবার নকআউট পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল পেয়েছেন। এই গোলে ম্যানচেস্টার সিটিও ফিরতি লেগে মানসিক দিক দিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়েই থাকল। নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচ বছর ধরে সিটি একবারও হারেনি।