কোপেনহেগেনের মাঠে শেষ ষোলো পর্বের প্রথম লেগে ৩–১ ব্যবধানে জিতেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গত রাতে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামেও এসেছে ৩–১ ব্যবধানের জয়। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬–২ ব্যবধানের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সিটি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের একটি কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে প্রথম ইংলিশ ক্লাব এবং সব মিলিয়ে রিয়াল ও বায়ার্নের পর তৃতীয় ক্লাব হিসেবে টানা ১০ জয়ের কীর্তি গড়েছে সিটি। ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা রিয়ালের এই জয়যাত্রা থেমেছিল পরের বছর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে শালকের কাছে ৪–৩ ব্যবধানে হেরে। জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন করোনাকালে ২০১৯–২০ মৌসুমে টানা ১১ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
রিয়ালের মতো সিটির রেকর্ডটাও হয়েছে দুই মৌসুম মিলিয়ে, যেটার শুরু হয়েছিল গত বছর সেমিফাইনাল থেকে রিয়ালকে বিদায় করেই। এরপর পেপ গার্দিওলার দল ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে ট্রেবল জয় করেছে। দলটি এবার গ্রুপ পর্বের ৬ ম্যাচের সঙ্গে কোপেনহেগেনের সঙ্গে জিতল দুই লেগেই।
কাল কোপেনহেগেনকে হারিয়ে আরেকটি কীর্তিতে বার্সেলোনার পাশে বসেছে সিটি। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে নিজেদের মাঠে কমপক্ষে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকা কীর্তি গড়েছে সিটি। ইতিহাদে সর্বশেষ ৩০ ম্যাচের ২৮টিতে জিতেছে সিটি, ড্র করেছে ২ ম্যাচ। বার্সা ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্প ন্যুয়ে টানা ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল।
মানুয়েল আকানজি, হুলিয়ান আলভারেজ ও আর্লিং হলান্ডের গোলে জিতে কাল একটা রেকর্ডে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে সিটি। ইউরোপের শীর্ষ এই ক্লাব প্রতিযোগিতায় প্রথম দল হিসেবে ঘরের মাঠে টানা নয় ম্যাচে কমপক্ষে ৩টি করে গোল করেছে গার্দিওলার দল।
এর শুরুটাও হয়েছিল গত রাতের প্রতিপক্ষ কোপেনহেগেনকে দিয়ে। ২০২২–২৩ মৌসুমে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ডেনমার্কের ক্লাবটিকে ৫–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল সিটি। এরপর সেভিয়া (৩ গোল), লাইপজিগ (৭ গোল), বায়ার্ন মিউনিখ (৩ গোল), রিয়াল মাদ্রিদ (৪ গোল), রেড স্টার বেলগ্রেড (৩ গোল), ইয়াং বয়েজ (৩ গোল), আবারও লাইপজিগ (৩ গোল) ও সর্বশেষ কোপেনহেগেনের জাল ৩ বার কাঁপিয়েছে তারা।