জনপ্রিয়তায় যেকোনো খেলার চেয়ে ঢের এগিয়ে ফুটবল। তবে খেলাধুলার সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় সেই ফুটবলই কত পিছিয়ে! যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস সাময়িকীর করা তালিকায় বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় সেরা দশে নেই কোনো ফুটবল ক্লাব, সেরা বিশে আছে মাত্র তিনটি ফুটবল ক্লাব। ফুটবল হেরেছে আমেরিকান ফুটবল এনএফএলের (রাগবির মতো আরেকটি খেলা) কাছে। তালিকায় সবার ওপরে জায়গা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এনএফএল দল ডালাস কাউবয়েজ।
ফুটবল ক্লাবগুলোর তালিকাতেও গত বছরের তুলনায় এবার পরিবর্তন এসেছে অনেক। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সামগ্রিক তালিকায় ১৩ নম্বরে থাকা রিয়াল ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে শীর্ষে। দেনার দায় থাকলেও দামি ফুটবল ক্লাবের তালিকায় বার্সার অবস্থান দ্বিতীয়, সব খেলা মিলিয়ে ১৫তম।
অন্যদিকে মাঠের খেলায় পুরোনো ঐতিহ্য হারাতে বসা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আছে ফুটবলের তালিকার ৩ নম্বরে, সামগ্রিক তালিকায় ১৯তম। ওদিকে খেলাধুলার সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় সেরা ২০-এর মধ্যেই নেই ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির মতো নব্য ধনী ক্লাবগুলো। সেরা ৫০-এ আছে লিভারপুল (২২), বায়ার্ন মিউনিখ (২৩), ম্যানচেস্টার সিটি (২৪), পিএসজি (৪৮) ও চেলসি (৫০)।
গত বছর ফোর্বস সাময়িকীর এ তালিকায়ও শীর্ষে ছিল ডালাস কাউবয়েজ। গতবারও তালিকার শীর্ষ দশে ছিল তিনটি ফুটবল ক্লাব—বার্সা (চতুর্থ), রিয়াল (পঞ্চম) ও বায়ার্ন মিউনিখ (দশম)।
ফোর্বসের হিসেবে ডালাস কাউবয়েজ ক্লাবের বর্তমান মূল্যমান ৬৮০ কোটি ডলার। দুইয়ে থাকা আমেরিকান ফুটবল এনএফএলের আরেক দল নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়টসের দাম ৫৫০ কোটি ডলার। লস অ্যাঞ্জেলেস র্যামসের অবস্থান তিনে (৫৩০ কোটি ডলার)। মেজর লিগ বেসবলের (এমএলবি) দল নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কি (৫১০ কোটি ডলার) তালিকার চারে। নিউইয়র্ক জায়ান্টস আছে তালিকার ৫ নম্বরে। তালিকার শীর্ষ দশ দলের ছয়টিই আমেরিকান ফুটবল এনএফএলের।
ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের মোট মূল্যমান ধরা হয়েছে ৪৪০ কোটি ডলার। বার্সেলোনার মোট মূল্যমান ৪৩০ কোটি ডলার। ১৯ নম্বরে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল্য ৩৪০ কোটি ডলার। গত পাঁচ বছরে রিয়ালের বাজার মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে ৪২ শতাংশ, বার্সার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯ শতাংশ। আর ইউনাইটেড বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
গত বছরই জানা গেছে, বার্সেলোনার ঋণের পরিমাণ প্রায় ১২০ কোটি ইউরো। বিশাল অঙ্কের এ ঋণ নিয়েও দলবদলের বাজারে টাকা ঢেলেছে বার্সা। নতুন খেলোয়াড় কিনতে ও লিগে তাদের নিবন্ধিত করতে শেষ পর্যন্ত বার্সাকে চতুর্থ ইকোনমিক লেভার চালু করতে হয়েছে। এরপরও সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় বার্সার জায়গা পাওয়ার কারণ—দামি ক্লাবের তালিকা করতে ওই ক্লাবের ঋণসহ মোট সম্পদের হিসাব করেছে ফোর্বস। সঙ্গে ক্লাবের স্টেডিয়ামের মূল্য, এ থেকে আয়, সম্প্রচারস্বত্ব থেকে সম্ভাব্য আয়ও বিবেচনা করা হয়েছে।