ফুটবল এমনই। আর্সেনালের জয়ের নায়ক হতে পারতেন লিয়ান্দ্রো ত্রসার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লেস্টার সিটির মাঠে গানারদের ১–০ গোলের জয়ে তিনি হয়ে থাকলেন পার্শ্বনায়ক আর নায়ক হয়ে গেলেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
আর্সেনালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্তিনেল্লির করা ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে ত্রসারের অসাধারণ এক পাস থেকে। সতীর্থকে দিয়ে করানো এ গোলটির আগে ত্রসারের নিজের নামটিই উঠতে পারত স্কোরশিটে। কিন্তু ভিএআরে তাঁর গোলটি বাতিল হয়ে গেছে!
ত্রসারের গোল বাতিলের ঘটনাটি প্রথমার্ধের। ম্যাচের শুরু থেকেই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া আর্সেনাল প্রথমার্ধে বলের দখল রাখে ৭৪ শতাংশ। গোলের উদ্দেশে শট নেয় ৭টি। কিন্তু বুকায়ো সাকা–মার্তিনেল্লিরা একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে লক্ষ্যে থাকা একমাত্র শটটি নেন ত্রসার। সাকার নেওয়া কর্নার কিক সুইং করে ভেতরে ঢোকে। সেটি পাঞ্চ করে সরিয়ে দেন লেস্টারের গোলকিপার ওয়ার্ড। বল গিয়ে পড়ে গ্রানিত জাকার পায়ে। তিনি পাস বাড়ান ত্রসারকে। দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি জানান, গোলকিপার ওয়ার্ডকে ফাউল করা হয়েছে।
প্রথমার্ধে তাই গোলশূন্য সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। বিরতি থেকে ফিরেই আবার লেস্টারের রক্ষণে ঝাপিয়ে পড়ে আর্সেনাল। এর ফলও সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে যায় তারা। ৪৬ মিনিটে আর্সেনালকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি দুর্দান্ত এক কোনাকুনি শটে করেন মার্তিনেল্লি।
মাঝমাঠ থেকে বাঁ প্রান্তে ত্রসারকে বল দেন এক সতীর্থ। বলটি পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় তিনি লেস্টারের ডিফেন্ডার সাউটারের দুই পায়ের ফাঁকে দিয়ে পাস বাড়ান মার্তিনেল্লিকে। তিনিও ঠাণ্ডা মাথায় বল পাঠান জালে। শেষ পর্যন্ত এ গোলই হয়ে যায় ম্যাচের ফল নির্ধারক।
লেস্টারের বিপক্ষে এ জয়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ২৪ ম্যাচে ৫৭ হয়েছে। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে তৃতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৪৯।