ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা আর্লিং হলান্ড নরওয়ের নাগরিক
ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা আর্লিং হলান্ড নরওয়ের নাগরিক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোন ক্লাবে কত দেশের খেলোয়াড়

লিগ ইংল্যান্ডের। সব দলের সব খেলাও হয় সে দেশেই। একই সূত্রে আয়ের সিংহভাগ আর প্রচার-প্রসারও হয় ইংল্যান্ডের। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা প্রতিটি ক্লাবই ‘বহুজাতিক’। একেকটি ক্লাবেই যে অন্তত দশের বেশি বিদেশি খেলোয়াড় আছেন। যাঁরা পৃথিবীর নানা দেশ থেকে স্রেফ ফুটবলীয় দক্ষতার জোরে সেখানে হাজির হন।

এবার যেমন এক ব্রাইটনেই আছে ২১টি দেশের ফুটবলার। লিভারপুলে আছে ১৭ দেশের খেলোয়াড়। বিদেশির সংখ্যায় খুব একটা পিছিয়ে নেই টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি আর চেলসিও। ২০২৪-২৫ মৌসুমে অংশ নেওয়া দলগুলোর মূল দলের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এ সপ্তাহে শুরু হওয়া প্রিমিয়ার লিগের ২০ ক্লাবের মূল দলের খেলোয়াড়দের জাতীয়তা বিশ্লেষণ করেছে ট্রান্সফারমার্কেটডটকম। মূল দল বলতে বোঝানো হয় লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া খেলোয়াড় তালিকা। দলগুলো এই তালিকার বাইরে থাকা ক্লাবের বয়সভিত্তিক দল থেকেও পরবর্তী সময়ে অনুমতিক্রমে খেলোয়াড় মাঠে নামাতে পারে। এ ছাড়া জানুয়ারির দলবদল বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হালনাগাদও করতে পারে।

ট্রান্সফারমার্কেটের হিসাব অনুসারে, এই মুহূর্তে ব্রাইটনে ইংল্যান্ড ছাড়া আরও ২০টি দেশের খেলোয়াড় আছেন। মহাদেশের দিক থেকে দেখলে সাত মহাদেশের মধ্যে ৬টিরই খেলোয়াড় আছে এই দলে। জনবিরল অ্যান্টার্কটিকার কারও থাকার অবশ্য উপায়ও নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯টি ভিন্ন জাতীয়তার খেলোয়াড় আছে বোর্নমাউথে। ১৮ দেশের খেলোয়াড় নিয়ে তৃতীয় স্থানে উলভারহ্যাম্পটন।

প্রিমিয়ার লিগে যে দলগুলোকে ‘বিগ সিক্স’ বলা হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাতীয়তার খেলোয়াড় লিভারপুলে—১৭। চেলসি আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আছে ১৬ দেশের প্রতিনিধিত্ব। ২০ দলের তালিকায় ১৫ দেশের খেলোয়াড় নিয়ে ১১ নম্বরে অবস্থান আর্সেনালের। আর ম্যানচেস্টার সিটি আছে ১৭ নম্বরে, ভিন্ন জাতীয়তার সংখ্যা ১২।

সবচেয়ে কম জাতীয়তার উপস্থিতি এভারটনে—৯। এর চেয়ে এক বেশি আছে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে উঠে আসা ইপসউইচে।

কোন ক্লাবে কত দেশের খেলোয়াড়

ট্রান্সফারমার্কেটের অন্য একটি তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ মৌসুমে সবচেয়ে বড় স্কোয়াড চেলসির। টানা তিন বছর ধরে দলবদল বাজারে প্রচুর কেনাকাটা করা ক্লাবটিতে এখন খেলোয়াড়সংখ্যা ৪২। এদের মধ্যে বিদেশিই ২৫ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ জন খেলোয়াড় আছে ব্রাইটনে, বিদেশি ২৬। ৩৫ খেলোয়াড় নিয়ে নিউক্যাসল ইউনাইটেড তৃতীয় এবং ৩৩ জন করে খেলোয়াড় নিয়ে উলভস ও সাউদাম্পটন যৌথভাবে চারে আছে।

গত মৌসুমের বেশির ভাগজুড়ে শিরোপা লড়াইয়ে থাকা দলগুলোর স্কোয়াড অবশ্য খুব বড় নয়। সিটির ২৬, লিভারপুলের ২৭ আর আর্সেনালের ২৩। এই তিন দলের বিদেশির সংখ্যা যথাক্রমে ১৮, ২০ ও ১৭। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিদেশি ২১ জন, স্কোয়াড ৩২ জনের।

এ বছরের এপ্রিলে প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ১৯৯২ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত মোট ১২৩টি দেশের খেলোয়াড়েরা প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ মৌসুমে ২০ ক্লাবে ছিল ৬৮টি দেশের খেলোয়াড়।