ইউরোপ ছেড়ে এশিয়ায় এসেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এমন এক দেশে তিনি খেলতে গেছেন, যেখানে প্রকাশ্যে তাঁর ইউরোপীয় জীবন এককথায় অসম্ভব। শরিয়াহ আইনের দেশ সৌদি আরবে কীভাবে জীবন কাটাবেন পর্তুগিজ তারকা! ইউরোপ থেকে হঠাৎ সৌদি আরবের জীবনে অভ্যস্ত হওয়াটাও তো কঠিন ব্যাপার। তবে এটা ঠিক, সৌদি কর্তৃপক্ষ রোনালদোর আরাম–আয়েশের সব ব্যবস্থাই করেছে।
সৌদি আরবে ইউরোপীয় জীবনধারার অনেক কিছুই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তবে বিদেশি, বিশেষ করে পশ্চিমাদের জন্য চারদেয়ালের আড়ালে ইউরোপীয় জীবনযাত্রার সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে। জানা গেছে, আল নাসরে খেলার সময় এমন একটা জায়গাতেই রোনালদোর জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, রোনালদোর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ রাজধানী রিয়াদে একটি বিলাসবহুল বাড়ির ব্যবস্থা করেছে, যেটির বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড। একজন মানুষ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য যা যা পেতে চান, তাঁর সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে সেখানে।
রোনালদোর বাড়িতে সুইমিংপুল আছে, যেটিকে বলা হচ্ছে—‘অলিম্পিক সাইজ পুল’। আটটি বেডরুমের এ বাড়ির প্রাঙ্গণে বাচ্চাদের স্কুলেরও ব্যবস্থা আছে, আছে গলফ খেলা থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জীবনাচারের জন্য যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই। সৌদি আরব তার পশ্চিমা বন্ধুদের যেসব সুবিধা দেয়, তার সবকিছুই পাবেন রোনালদো। এমনকি বিশ্বমানের ব্র্যান্ডশপও থাকছে সেই প্রাঙ্গণে। তবে সবকিছুই হবে কঠোর শরিয়াহ আইনের নিগড়ে বাঁধা সৌদি আরবের সাধারণ মানুষের দৃষ্টিসীমা থেকে আড়ালে।
গতকাল এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রোনালদোকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আল নাসর। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন তাঁর ইউরোপ পর্বের সমাপ্তির। আল নাসরে বিরাট অঙ্কে যোগ দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। তিনি এখানে বছরে ২১ কোটি মার্কিন ডলার আয় করবেন, যেটি ফুটবল তো বটেই খেলাধুলার ইতিহাসেই সর্বোচ্চ। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এই তারকার বেতন, ইমেজ স্বত্ব ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড মিলিয়ে যে আয় হবে, ইউরোপ মাতানো অনেক তারকা ফুটবলারেরই সেটি আয় করতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
সৌদি আরবে রোনালদোর নতুন জীবনটা অর্থ আর বিলাসে মুড়িয়ে দেওয়া, এটা না বললেও চলছে।