বার্সা কোচ জাভি
বার্সা কোচ জাভি

বলছেন জাভি

‘এটাই প্রথম শিরোপা, তবে শেষ নয়’

নতুন বছরের প্রথম এল ক্লাসিকো। মঞ্চটাও বিশাল। স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনাল। সৌদির আরবের রাজধানী রিয়াদে গত রাতের সেই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়েছে ৩-১ গোলে।

বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গাভি ও রবার্ট লেভানডফস্কির গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। বিরতির পর ব্যবধান আরও বাড়ান পেদ্রি। যোগ করা সময়ে করিম বেনজেমার সান্ত্বনাসূচক গোলটা রিয়ালের কোনো কাজেই আসেনি।

দুর্দান্ত এ জয়ে বার্সেলোনা যেমন মৌসুমের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে, জাভি হার্নান্দেজও তেমন বার্সার কোচ হিসেবে পেয়েছেন প্রথমের স্বাদ। শুধু কি তা–ই? লিওনেল মেসি ক্লাব ছাড়ার পর এই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কাতালানরা।

বার্সার কোচ হিসেবে প্রথম ট্রফি জিতেছেন জাভি

এমন অর্জনের পর স্বাভাবিকভাবেই আবেগাপ্লুত জাভি। ফাইনাল শেষে তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে। ছেলেরা নিজেরাই আজ (কাল) মুক্তির পথ খুঁজে নিয়েছে। আমরা আর থামতে চাই না। এটাই মৌসুমের প্রথম শিরোপা, তবে শেষ নয়।’

ফাইনালের আগে শুধুই রিয়ালের স্তুতি গেয়েছেন জাভি। ২০১০ সালের পর রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি যে আর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হারেননি! সেই আনচেলত্তির সব কৌশল কাল জাভির কাছে নস্যি হয়ে গেছে।

তবে জাভি এখনই আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চান না। বার্সার খেলোয়াড় হিসেবে ২৭টি শিরোপা জেতা জাভি কোচের ভূমিকাতেও অনেক সাফল্যের অপেক্ষায়, ‘প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এই শিরোপা (বার্সা) বোর্ড, স্টাফ, খেলোয়াড়, সমর্থকসহ সবাইকে প্রশান্তি দিয়েছে। তবে এখানেই থেমে গেলে চলবে না। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না দলটা এখনো গঠনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

ফাইনালে একটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন গাভি

ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে দলকে ক্ষুধার্ত দেখতে চেয়েছিলেন জাভি। তাঁর মনের আশা পূরণ করেছেন শিষ্যরা। তবে মাঠে সবচেয়ে দুর্দান্ত মনে হয়েছে গাভিকে। তিন গোলের দুটিতেই অবদান তাঁর। প্রথমটি নিজে করেছেন, অন্যটি লেভাকে দিয়ে করিয়েছেন।তরুণ মিডফিল্ডারকে নিয়ে গর্বিত কোচ বলেছেন, ‘ওর খেলা দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। ও বিশুদ্ধ আবেগ ও আত্মা দিয়ে খেলে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই দলকে জাগিয়ে তুলতে পারে। ওর কোনো সীমা নেই।’