শিয়ারার–কোলকে তাড়া করেই চলেছেন হলান্ড
শিয়ারার–কোলকে তাড়া করেই চলেছেন হলান্ড

শিয়ারার–কোলের আরেক রেকর্ড ভাঙতে হলান্ডের চাই ৬, হাতে ম্যাচ ৫টি

কোথায় থামবেন আর্লিং হলান্ড? কী কী রেকর্ড ভাঙবেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার? ইংলিশ ফুটবলের অভিষেক মৌসুমেই স্বপ্নের মতো শুরুর পর উচ্চারিত হচ্ছে প্রশ্নগুলো।

মৌসুমের শেষ ভাগে এসে মিলতে শুরু করেছে উত্তর। নিজেকে এভারেস্টসম উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পথে পরশু রাতে প্রিমিয়ার লিগের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন হলান্ড। ছাড়িয়ে গেছেন অ্যালান শিয়ারার ও অ্যান্ড্রু কোলকে।

শিয়ারার ও কোল যথাক্রমে ১৯৯৪-৯৫ ও ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ৩৪টি করে গোল করেছিলেন। প্রিমিয়ার লিগে তখন খেলত ২২ দল। তাঁরা ম্যাচ পেয়েছিলেন ৪২টি করে। ২০ দল আর ৩৮ ম্যাচের বর্তমান আসরে হলান্ড এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ৩৫ গোল, সেটাও ৩১ ম্যাচে।

পরশু ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে জয়ের পর রেকর্ড গড়া হলান্ডকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছেন সিটির খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা। এখানেই হয়তো শেষ নয়। মৌসুম শেষে কিংবা মৌসুম শেষ হওয়ার আগে আরেকটি ‘গার্ড অব অনার’ পেতে পারেন ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার; সেই শিয়ারার আর কোলের যৌথ রেকর্ড ভেঙেই।

প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড গড়া গোলের পর হলান্ড

প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে গোল করায় যেমন শীর্ষে ছিলেন শিয়ারার–কোল, তেমনি গোলে অবদান রাখায় এখনো শীর্ষে তাঁরা। সেই ১৯৯৩–৯৪ মৌসুমেই নিউক্যাসল ইউনাইটেডের হয়ে ৪৭ গোলে অবদান রেখেছিলেন কোল। নিজে করেছিলেন ৩৪ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছিলেন আরও ১৩টি। সব মিলিয়ে অবদান ৪৭টি গোলে। পরের মৌসুমে কোলের কীর্তির ‘কপি–পেস্ট’ করেন ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের শিয়ারার। তাঁদের ওই রেকর্ড ভাঙতে আর ৬টি গোলে অবদান রাখতে হবে হলান্ডকে, ম্যাচ বাকি ৫টি।

প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম মৌসুমে হলান্ড ৩১ ম্যাচ খেললেও তাঁর দল সিটি খেলেছে ৩৩টি। চোটের কারণে গত বছরের অক্টোবরে লেস্টার সিটি ও এ বছরের এপ্রিলে লিভারপুলের বিপক্ষে খেলতে পারেননি হলান্ড। ২ ম্যাচ কম খেলেও ৪২ গোলে অবদান (৩৫ গোল, ৭ অ্যাসিস্ট) রেখেছেন তরুণ স্ট্রাইকার।

এই মুহূর্তে তালিকার চারে আছেন হলান্ড। যৌথভাবে শীর্ষে থাকা শিয়ারার–কোলের (৪৭) পর আছেন থিয়েরি অঁরি (৪৪), লুইস সুয়ারেজ (৪৩) ও যৌথভাবে মোহাম্মদ সালাহ ও হলান্ড (৪২)।

হলান্ড যেভাবে ছুটছেন, তাতে শেষের তিনজনের রেকর্ড ভাঙা নিয়ে আলোচনা করা অনেকের কাছেই বাহুল্য মনে হতে পারে। লিগে সর্বশেষ ৮ ম্যাচেই গোলে অবদান রাখা স্ট্রাইকারের জন্য শেষ ৫ ম্যাচে ৬ গোল করা বা করানোও খুব একটা কঠিন হওয়ায় কথা নয়। সব ঠিক থাকলে আরেকবার শিয়ারার–কোলকে টপকে, অনন্য কীর্তি গড়ে আরেকটি ‘গার্ড অব অনার’ পেতেই পারেন হলান্ড!