২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে লিওনেল মেসির অবসর নিয়ে চলে আসছে নানা গুঞ্জন। কাতারে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতানো মেসি ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন কি না, তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা–কল্পনা। বিষয়টি নিয়ে আর্জেন্টিনার কোচ এবং খেলোয়াড়েরা যেমন কথা বলেছেন, একইভাবে এ বিষয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন মেসি নিজেও। কোচ–সতীর্থরা মেসিকে দেখতে চাওয়ার কথা বললেও মেসি নিজে অবশ্য সরাসরি কিছু বলেননি।
এ প্রসঙ্গে বারবার বয়স ও ফিটনেসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় আয়োজিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপে খেলার বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়েও দেননি তিনি। সম্প্রতি দুই বছর পর আয়োজিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে মেসির খেলা নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টার। লিভারপুল তারকা অবশ্য বলেছেন, মেসির বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে তাঁর মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই।
২০২৬ বিশ্বকাপে মেসিকে খেলতে দেখার ব্যাপারে আশাবাধী ম্যাক আলিস্টার ইএসপিএনকে বলেছেন, ‘আপনি যদি আমার ভাবনা জানতে চান, হ্যাঁ, আমি মনে করি সে সেখানে (২০২৬ বিশ্বকাপে) থাকবে। অন্তত সাক্ষাৎকারে তার কথা শুনে বা আমরা যখন জাতীয় দলে যোগ দিয়ে তাকে অনুশীলন করতে দেখি কিংবা যেভাবে সে খেলে; আমার কোনো সন্দেহ নেই যে সে সহজেই খেলতে পারবে।’
বিশ্বকাপের কাছাকাছি সময়ে মেসির খেলা না–খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে উল্লেখ করে ম্যাক আলিস্টার আরও বলেছেন, ‘এটাও ঠিক যে এই সিদ্ধান্ত খুবই ব্যক্তিগত। সম্ভবত (বিশ্বকাপের) সময় ঘনিয়ে আসবে তখন সে কেমন অনুভব করছে, তার প্রেক্ষিতে এটা ঘোষণা করা হবে। আমি আশা করি সে বিশ্বকাপে থাকবে। আর এটা সব সময় বলি, লিও আমার কাছে বিশ্বসেরা। পার্থক্য গড়ে দেওয়ার সামর্থ্য তার আছে, এমনকি তার বয়স হয়ে যাওয়ার পরও।’
কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোটে পড়ে ছিটকে যান মেসি। চোট কাটিয়ে এখনো মাঠে ফেরা হয়নি তাঁর। ফলে সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইয়ের ম্যাচে মেসিকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে আর্জেন্টিনাকে। মেসির থাকা এবং না–থাকা কেমন পার্থক্য গড়ে দেয়, সেটা নিয়েও কথা বলেছেন ম্যাক আলিস্টার।
লিভারপুলের এই তারকা খেলোয়াড় বলেছেন, ‘আমরা সব সময় দলের ওপর মনোযোগ দিই। আমরা জানি যে লিও (মেসি) এখানে থাকবে না। আমাদের এখন আরও শক্তিশালী হতে হবে। কারণ, কোনো কিছু ভুল হলে যে খেলোয়াড়টি আমাদের বাঁচাতে পারেন, তিনি থাকবেন না। আমরা জানি যে লিও থাকলে প্রতিপক্ষ কিছুটা ভীত থাকে। এটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের এমন খেলোয়াড়ও আছে, যারা ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোতে খেলেন। ফলে তারা (প্রতিপক্ষ) যখন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে দেখে, তারা বুঝতে পারে ম্যাচটা সহজ হবে না। এটাই আমরা চাই। আমরা আমাদের সেরাটা দেখাতে চাই, যেন প্রতিপক্ষের জন্য দিনটা কঠিন হয়ে ওঠে।’