সহজ সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি ফয়সাল
সহজ সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি ফয়সাল

গোল নষ্ট করে অনুতপ্ত ফয়সাল তাকিয়ে আছেন মালদ্বীপ ম্যাচে

পেছন থেকে লম্বা বল দিয়েছেন বদলি নামা তরুণ মিডফিল্ডার মোরসালিন। সেই বল নিয়ে অনেক দৌড়ে লেবাননের বক্সে ঢোকেন ফয়সাল আহমেদ (ফাহিম)। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার ছিলেন গায়ে গায়ে। তবে সামনে শুধু গোলকিপার। সহজ সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি ফয়সাল।

বেঙ্গালুরু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে তাঁর এই গোল নষ্ট বাংলাদেশের আফসোসের কারণ হয়েছে। পরে তারিক কাজীর ভুলে গোল খেয়ে হার দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ’ শুরু করেছে বাংলাদেশ

জয় না হোক, অন্তত ড্র হতে পারত ম্যাচটা। সেটি হয়নি বলে আফসোসে পুড়ছেন গোল নষ্ট করা ফয়সালও। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে ফয়সাল আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাল আমার দুর্ভাগ্য ছিল। কপাল ভালো হলে ওটা গোল হতো। আমি ভেবেছিলাম বলটা প্রথম বারে রাখব। কিন্তু আগেই পুশ করার কারণে বলটা একটু উঠে গেছে। ফলে আমার শটটা লেবানের গোলকিপারের গায়ে লাগে।’

এমন ম্যাচে এ ধরনের গোল নষ্ট করা ঠিক নয় বলছেন ফয়সাল। তারপর নিজেই সান্ত্বনা খোঁজেন, ‘কেউ আসলে ইচ্ছা করে গোল নষ্ট করে না। হয়ে গেছে, কী আর করা। মিস করার পর খুব খারাপ লাগছে। ওটা আমার গোল করা উচিত ছিল। সারাক্ষণই এটা মনে হচ্ছে। কী আর বলব, গোলটা হয়তো আমার কপালে ছিল না।’

সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় পয়েন্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ

এরপর যেন আর এমন গোল নষ্ট না হয়—সতর্ক থাকতে চান ২২ বছরের তরুণ। ফোনের ও প্রান্তে বলতে থাকেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমার এমন মিস কমই হয়। কিন্তু কাল হয়ে গেছে। নিজেই অনুতপ্ত। মাঠেই কোচ বলেছেন, যেটা হওয়ার হয়েছে মন খারাপ করিস না, তুই পারবি।  ম্যাচের পর বড় ভাইয়েরা বলেছে, সমস্যা নেই। আগামীতে এমন হবে না। তবে  মিস হওয়ার পর থেকে আমার এত খারাপ লাগছে যে নিজেকে বোঝাতে পারছি না। দেশকে কিছু উপহার দিতে পারলাম না। কষ্ট হচ্ছে। ওটা গোল হলে ম্যাচে আমরা পয়েন্ট পেতে পারতাম।’

সিরাজগঞ্জে থেকে উঠে আসা ফয়সাল আহমেদ জাতীয় দলের হয়ে এখনো কোনো গোল পাননি। ২০১৬ সালে নেপালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার চার জাতি টুর্নামেন্টে। মালদ্বীপের সঙ্গে বদলি হিসেবে খেলেছেন একটি ম্যাচ। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বদলি হিসেবে খেলেন ২০ মিনিট।

গত বছর জুনে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান, মালয়েশিয়ার সঙ্গে খেলেছেন বদলি হিসেবে। গত মার্চে সিলেটে সেশেলসের সঙ্গে মাঠে নামা হয়নি। কম্বোডিয়া আর লেবাননের সঙ্গে দুই ম্যাচ খেললেন একাদশে। তবে লেবাননের সঙ্গে ম্যাচটা তাঁর কাছে সুখবর হলো না, এটাই তাঁর আক্ষেপ। বলছেন, ‘মাঠে গোল নষ্ট করতে চায় না কেউই। আমিও চাইনি। মালদ্বীপের বিপক্ষে সুযোগ পেলে গোল করে কষ্টটা ভুলতে চাইব।’