‘গোলমেশিন’—বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখানো আর্লিং হলান্ডকে এই নামে ডাকেন অনেকে। বক্সের আশপাশে বা ভেতরে যেখানেই বল পান আর তিনি যে অবস্থাতেই থাকেন, গোল করা তাঁর জন্য ব্যাপার নয়। গোলমেশিন এই হলান্ডই লিভারপুলের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ডে সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি।
পুরো ম্যাচই খেলেছেন হলান্ড। দলের ৩-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচে হলান্ডকে আটকে রাখার দায়িত্ব ছিল লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের। তিনি সেটা ভালোভাবেই পেরেছেন। তবে হলান্ডকে সামলাতে গিয়ে বুঝেছেন, আসন্ন মৌসুমে ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ দলগুলোর ডিফেন্ডার সামনে ভয়ংকর বিপদ!
হলান্ডকে সামলানো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফন ডাইক শুরু করেছেন প্রথাগতভাবেই, ‘সব স্ট্রাইকারের জন্য মনোযোগ সব সময় একই রকম।’ এটুকু বলার পরই বোধ হয় আসল কথাটা বললেন ফন ডাইক, ‘অবশ্যই সে অনেক ভালো মানের। ডিফেন্ডারদের জীবন কঠিন করে তুলবে। ইংল্যান্ডে সে ডিফেন্ডারদের জীবন দুর্বিষহই করে দেবে।’
হলান্ডের খেলার ধরন কেমন? এ প্রশ্নের উত্তরে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারকে নিয়ে ফন ডাইক বলেছেন, ‘সে খুব বেশি সরাসরি। তার সব গুনই আছে। সে হেড করতে পারে, খুব গতিময়।’
ম্যান সিটিতে যেমন ‘নাম্বার নাইন’ হিসেবে নাম লিখিয়েছেন হলান্ড, লিভারপুলও তেমনি দলে ভিড়িয়েছে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার ডারউইন নুনিয়েজকে। এ ছাড়া হ্যারি কেইন, রবার্তো ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা তো আছেনই। সব মিলিয়ে এবারের প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইটা বেশ জমবে বলেই মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
ফন ডাইক কী মনে করেন, এবারের প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা কে হবেন? এ বিষয়ে তেমন কিছু বলেননি লিভারপুলের ডিফেন্ডার। তবে হলান্ড কীভাবে ইংল্যান্ডের ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর কথা, ‘হলান্ডকে আমি কোনো পরামর্শ দেব না। সে জানে যে কে কী বলল, সেটাতে নয়, নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে হবে তাকে।’
ফন ডাইক এর সঙ্গে যোগ করেন, ‘বেশি দামের খেলোয়াড়দের চাপ থাকে। কিন্তু কী আর করার আছে? ভালো খেলতেই নিয়ে আসা হয় তাদের। ক্লাব তার জন্য চড়া ট্রান্সফার ফি দেয়। আমাদের ডারউইনের জন্যও তাই।’