ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড এ বছর ব্যালন ডি’অরের বড় দাবিদার
ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড এ বছর ব্যালন ডি’অরের বড় দাবিদার

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নিয়ে যা বললেন হলান্ড

‘আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে’—বিরহের সুরে গাওয়া হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানটির মতো লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পথও বেঁকে গেছে।

মেসি গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে, রোনালদো যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবের আল নাসরে। একবিংশ শতাব্দীর সেরা দুই ফুটবলার দুই মহাদেশকে নিজেদের নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নেওয়ায় দীর্ঘ দেড় দশকের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইটা যে শেষ হয়ে গেছে, সেটা কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজেই স্বীকার করেছেন রোনালদো।

মেসি–রোনালদোর প্রস্থানে এখন ইউরোপীয় ফুটবলে রাজত্বের ব্যাটনটা যে দুজনের হাতে উঠতে যাচ্ছে বলে ফুটবলপ্রেমীরা মনে করছেন, তাঁরা হলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হলান্ড। দুজনের বয়স, গোল করা ও করানোর সামর্থ্যও সেই কথা বলছে।

জাতীয় দল নরওয়ের অনুশীলনে আর্লিং হলান্ড

তবে হলান্ড এখনই মেসি–রোনালদোর জায়গায় নিজেকে ও এমবাপ্পেকে দেখছেন না। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার মনে করেন, মেসি–রোনালদোর ফুটবলকে দেওয়ার মতো আরও বাকি আছে। ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদিতে গিয়ে দুজন দেশ দুটির ফুটবল ইতিহাসও বদলে দিয়েছেন বলে মত তাঁর।

সিটির হয়ে অভিষেক মৌসুমটা স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর কেটেছে হলান্ডের। একের পর এক গোলে রেকর্ড বইয়ে যেমন ঝড় তুলেছেন, দলকে ট্রেবল জেতাতেও রেখেছেন অসামান্য অবদান। মেসি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিলেও এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে তাই হলান্ডকেই এগিয়ে রাখছেন অনেকে। বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতিটা কে পাবেন, সেটা জানা যাবে আগামী ৩০ অক্টোবর

সেই ব্যালন ডি’অর প্রদানকারী ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই মেসি–রোনালদোর দীর্ঘ দিনের উপভোগ্য লড়াই আর তাঁদের জায়গায় নিজেকে ও এমবাপ্পেকে দেখা, না–দেখা নিয়ে আলোচনা করেছেন হলান্ড। বলেছেন, ‘সবাই এটা (মেসি–রোনালদোর জায়গা নেওয়া) মনে করেন। কিন্তু আপনাকে জোর গলায় বলতেই হবে, (ইউরোপে) মেসি ও রোনালদো কতটা অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলে গেছেন। আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে, এই বয়সেও তাঁরা নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন। এখনো তাঁরা অসাধারণ খেলোয়াড়।’

বিখ্যাত সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবলের কাভারে আর্লিং হলান্ড

পিএসজি তারকা এমবাপ্পের সঙ্গে দ্বৈরথ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করি না। ব্যাপারটাকে আমি ওভাবে দেখিও না। আমার সব মনোযোগ প্রতিদিন আরেকটু উন্নতি করায়, খেলাটাকে উপভোগ করতে থাকায়। আমি নিজ সংস্করণের সেরা হতে চাই।’

এ বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা দেখেন কি না—এমন প্রশ্নে হলান্ড জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে বিশ্বসেরা মনে করেন না। তা ছাড়া কোথায়–কী কথা বলতে হবে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর মিডিয়া ম্যানেজার।