বিচ্ছেদ হলো পর্তুগাল ও ফার্নান্দো সান্তোসের। মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে পর্তুগালের বিদায়ের পর দায়িত্ব ছাড়তে হলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে হইচই ফেলা কোচকে। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই খবর।
এফপিএফ বলছে তারা আট বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া সান্তোসকে বরখাস্ত করেনি। সান্তোসের সঙ্গে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি, ‘২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যে পথচলা শুরু হয়েছিল, সেই সফল পথচলা শেষ হলো অবশেষে। পর্তুগালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ শেষে এফপিএফ ও ফার্নান্দো সান্তোস, দুপক্ষই বুঝতে পেরেছে নতুন করে সবকিছু শুরু করার এখনই সময়। আমরা এখন নতুন কোচ বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করব।’
৬৮ বছর বয়সী সান্তোস অবশ্য বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগালের বিদায়ের পরও দায়িত্ব ছাড়তে চাইছিলেন না। তবে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব ছাড়তেই হলো তাঁকে। বিশ্বকাপের শেষ ষোলো ও শেষ আটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে শুরুর একাদশে না রাখাটাই কি শেষ পর্যন্ত তাঁর বরখাস্তের কারণ হলো?
সরাসরি না বললেও সান্তোস দায়িত্ব ছাড়ার পর এফপিএফের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন ওই সিদ্ধান্তে তাঁর সঙ্গে একমত হননি পর্তুগাল ফুটবলের অনেকেই, ‘কৃতজ্ঞচিত্তেই আমি বিদায় নিচ্ছি। আপনি যখন কোনো দল চালাবেন, কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এটা তো স্বাভাবিকই যে আমার সিদ্ধান্তে সবাই খুশি হয়নি।’
পর্তুগালের ক্রীড়া দৈনিক রেকর্দ লিখেছে ২০২৪ ইউরোর বাছাইপর্বেই পর্তুগাল দলের দায়িত্ব নেবেন তারকা কোচ জোসে মরিনিও। এখন সিরি ‘আ’ ক্লাব এএস রোমার কোচের দায়িত্ব পালন করছেন মরিনিও। দৈনিকটি আরও লিখেছে আপাতত রোমার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশিই জাতীয় দলের কাজ চালাতে পারেন ‘স্পেশাল ওয়ান’।
মরিনিও রোমাকে নিয়ে এখন আছেন দক্ষিণ পর্তুগালের এক অনুশীলন কেন্দ্রে। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকেরা তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তবে মরিনিও কোনো কথা বলেননি।