অ্যানফিল্ড গ্যালারিকে রীতিমতো ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিল লুটন টাউন। অবনমন অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করা দলটির কাছে ১২ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল লিভারপুল। যে ব্যবধান প্রথমার্ধে ঘোচাতেই পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
কিন্তু বিরতির পর লিভারপুল আক্রমণভাগ ফিরল ভিন্ন চেহারায়। ১৫ মিনিটের মধ্যেই লুটনের জালে বল গেল তিনবার। শেষ দিকে আরও একবার।
দ্বিতীয়ার্ধের এই গোল উৎসবের সুবাদে প্রিমিয়ার লিগে লুটনকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে লিভারপুল। গোল করেছেন ভার্জিল ফন ডাইক, কোডি গাকপো, লুইস দিয়াজ ও হার্ভি এলিয়ট।
এ জয়ে লিগ পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে গেল লিভারপুল।
ম্যাচের শুরুর দিকেই লিভারপুল পিছিয়ে যায় আলগা রক্ষণের কারণে। তাহিত চংয়ের শট লিভারপুল গোলকিপার কেলেহার রুখে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সামনে বল পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন চিদোজি ওগবেন।
প্রথমার্ধে মোট ১২টি শট নিয়েও এই গোল আর শোধ দিতে পারেনি লিভারপুল। বিরতিতে যায় ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে গোল করে অ্যানফিল্ড গ্যালারিতে স্বস্তি ফেরান ফন ডাইক। আলেক্সিস মাক-আলিস্টারের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন লিভারপুল অধিনায়ক।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান ২-১ বানিয়ে দেন গাকপো। হেডে হওয়া এই গোলেরও উৎস ছিলেন মাক-আলিস্টার।
এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল ৭১ মিনিটে গোল পায় দিয়াজের কাছ থেকে, যিনি এর আগে একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছেন। ৯০ মিনিটে হাভি এলিয়টও গোলদাতার খাতায় নাম লেখালে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
২৬ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট ৬০। এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৫৬।