শেষ গোলটি করেন দারউইন নুনিয়েজ
শেষ গোলটি করেন দারউইন নুনিয়েজ

সিটিকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষস্থান থেকে নামাল লিভারপুল

আর্সেনালের বিপক্ষে আগের ম্যাচে হেরে লিভারপুল কি ‘হ্যাংওভারে’ ছিল!হতে পারে। কারণ, আজ অ্যানফিল্ডে বার্নলির বিপক্ষে তাদেরকে চাপে রাখা তো দূরে থাক, নিজেরাই শুরুতে চাপে ছিল। এমনকি প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরও।

শেষ পর্যন্ত চাপ সামলে আর ফোফানার ‘জোড়া ভুলে’৩–১ গোলে জিতলেও অ্যানফিল্ডের রেকর্ড ৫৯, ৮৯৬ দর্শকের হয়তো মন ভরাতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এই জয়ে আবারও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল। ৭৭ দিন পর শীর্ষে উঠে ২ ঘণ্টাও থাকতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি।

সর্বশেষ ১০ ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে ৮টি জয় পাওয়া লিভারপুল আজ শুরু থেকেই চাপে ছিল। তবে স্রোতের বিপরীতে ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোল পেয়ে যায় লিভারপুলই। আলেক্সজান্ডার আরনল্ডের নেওয়া কর্নারে বার্নলির গোলকিপারের ভুলে বল পেয়ে যান দিয়োগো জোতা।

শীর্ষে ক্লপের দল

৬ গজ দূর থেকে নেওয়া হেডে সহজ গোল করেন তিনি। প্রথম গোল হজম করে চলতি মৌসুমে অ্যাওয়ে ম্যাচে কোনো জয় পায়নি বার্নলি। কোনো ম্যাচ ড্রও করতে পারেনি। ৬ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। তবে আজ বেশ খানিকটা সময়ের জন্য মনে হয়েছিল এই রেকর্ডটা ভাঙতে যাচ্ছে। বিশেষ করে বার্নলির সমতায় ফেরার পর।

বিরতির আগে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে দুর্দান্ত একটি গোল করেন ডারা ওশিয়া। ব্রাউনহিলের কর্নারে ১২ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান তিনি। ম্যাচে সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় বার্নলি। আরনল্ডের জায়গায় বিরতির পর মাঠে নামেন ইলিয়ট। লিভারপুলের পরের দুটি গোলেই সহায়তা করেন তিনি।

বিরতির পর ম্যাচের ৫২ মিনিটে আবারও গোল করেন জোতা। এগিয়ে যায় লিভারপুল। ইলিয়টের ক্রসে বসে করা হেডে গোল পান দিয়াজ। বার্নলি অফসাইডের আবেদন করলেও ভিআরে সেই দাবি ধোপে টেকেনি। উল্টো অভিযোগ করে কার্ড দেখেন বার্নলির কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। এরপর ম্যাচের ৬৩ ও ৬৬ মিনিটে গোলকিপার কেভিন কেলাহারকে একা পেয়েও ম্যাচের সহজতম গোলের সুযোগ মিস করেন ফোফানা। তাতেই ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে যায়। এরপর বাকি কাজটুকু সারেন দারউইন নুনিয়েজ। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ইলিয়টের বাড়ানো বলে হেডে বলে জালে জড়ান নুনিনেজ।