ম্যাচের তখন ৫৩ মিনিট। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা আলমেরিয়ার বিপক্ষে ০-২ গোলে পিছিয়ে। এমন সময় ম্যাচে ঘটল এক এক করে তিনটি বিতর্কিত ঘটনা। তিনটি ঘটনাই ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর)। তিনটি সিদ্ধান্তই রিয়ালের পক্ষে গেছে। এ নিয়ে গত পরশু রাতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আলমেরিয়া। রিয়াল ৩-২ গোলে ওই ম্যাচ জেতার পর দলটির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজও এ বিষয় নিয়ে অসন্তোষের কথা বলেছেন।
এবার রিয়াল-আলমেরিয়া ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত ওই তিন সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। এক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘গতকাল (গত পরশু) বার্নাব্যুতে যা ঘটেছে, সেটা দুঃখজনক।’
ম্যাচের প্রথম বিতর্কিত ঘটনাটি ম্যাচের ৫৩ মিনিটে। ফ্রান গার্সিয়ার ক্রস আলমেরিয়ার বক্সের মধ্যে লেগেছিল সেন্টারব্যাক কাইকি ফার্নান্দেজের হাতে। আলমেরিয়ার দাবি, বল কাইকির হাতে লাগার আগে তাঁকে ফাউল করেছিলেন রিয়ালের হোসেলু। কিন্তু রেফারি ভিএআরে শুধু হ্যান্ডবলই পরীক্ষা করেছেন। হ্যান্ডবল হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দিয়েছেন পেনাল্টি। তা থেকে গোল করে জুড বেলিংহাম ব্যবধান কমান।
৬১ মিনিটে আবার ভিএআরের সাহায্য চান রেফারি। আলমেরিয়ার আরিবাস বল রিয়ালের জালে পাঠান। কিন্তু গোলটি বিল্ডআপের সময় মাঝমাঠে বেলিংহামের মুখে থাপ্পড় মেরেছিলেন আলমেরিয়ার এক খেলোয়াড়। এটি ফাউল ছিল কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখতে চান রেফারি। পরে তিনি গোল বাতিল করে ফাউল দেন আলমেরিয়ার বিপক্ষে। আর ৩ নম্বর ঘটনাটি ৬৭ মিনিটে। চুয়ামেনির ক্রসে ভিনিসিয়ুস গোল করেন। প্রথমে দেখে মনে হচ্ছিল, ভিনিসিয়ুস হেড থেকে গোল করেছেন। কিন্তু আলমেরিয়ার খেলোয়াড়েরা হ্যান্ডবলের আবেদন করেন। পরে দেখা যায় বল ভিনিসিয়ুসের কাঁধে লেগে জালে ঢুকেছে। বলটি ভিনিসিয়ুসের হাতের বৈধ জায়গায় লেগেছে কি না, সেটা পরীক্ষার জন্য ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। পরে তিনি সেটি গোলই দেন।
এই তিন ঘটনা নিয়ে ম্যাচ শেষে আলমেরিয়া মিডফিল্ডার গনজালো মেরেলো বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, আমরা আজ ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছি। এটা একদমই পরিষ্কার। ম্যাচে ফেরার জন্য ওদের এ ছাড়া কিছু করার ছিল না। এবারের মৌসুমে আমাদের সঙ্গে এ রকমটা কয়েকবার হয়েছে। অভিযোগ না করলে তারা কান দেয় না। আমরা কখনোই কিছু বলিনি। কিন্তু আজ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যা ঘটেছে, অবিশ্বাস্য।’