বার্সার দুই জয়ের নায়ক ইয়ামাল ও লেভানডফস্কি
বার্সার দুই জয়ের নায়ক ইয়ামাল ও লেভানডফস্কি

ইয়ামাল–লেভায় বার্সার ‘জয়ের আনন্দ’

বার্সেলোনা–অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ম্যাচে সব চোখ ছিল লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসের ওপর। এই দুই বন্ধু ইউরোতে জুটি বেঁধে শিরোপা জিতিয়েছিলেন স্পেনকে। জুটি বাঁধার কথা ছিল বার্সাতেও। তবে বার্সার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে উইলিয়ামস থেকে গেছেন বিলবাওতেই। গতকাল রাতে একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নেমেছেন ইয়ামাল–উইলিয়ামস। যেখানে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ইয়ামালের বার্সা। কাতালান ক্লাবটির ২–১ ব্যবধানের জয়ে প্রথম গোলটি ইয়ামালেরই।

বার্সার মাঠে ইয়ামাল–উইলিয়ামসের ওপর চোখ থাকলেও শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন রবার্ট লেভানডফস্কিই। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বার্সার জয়সূচক গোলটি করেছেন তিনিই। লেভা অবশ্য গোলের আরও সুযোগ পেয়েছিলেন, যার মধ্যে দুটি ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে। এ ছাড়া কিছু সহজ সুযোগ থেকে তিনি নিজেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ঘরের মাঠে ম্যাচজুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলেছে বার্সা। ৬৬ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৩ শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখে তারা। আর বিলবাও ৯ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে মাত্র ২টি। এদিন ম্যাচের ২৪ মিনিটেই বার্সাকে এগিয়ে দেন ইয়ামাল।

বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্প্যানিশ তারকা। ৪২ মিনিটে অবশ্য ম্যাচে ফেরে বিলবাও। পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরান অইহান সানচেট। ৭৫ মিনিটে দারুণ এক ভলিতে বার্সার পক্ষে স্কোরলাইন ২–১ করেন লেভা।

ইয়ামাল–লেভার গোল উদ্‌যাপন

এই জয়ে বার্সার ডাগআউটে হানসি ফ্লিকের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল। বার্সায় নিজের প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় পেয়েছেন এই জার্মান কোচ। ম্যাচ শেষে নিজের স্বস্তির কথাও জানিয়েছেন তিনি। এ সময় আলাদা করে কথা বলেছেন লেভাকে নিয়ে, ‘প্রথমার্ধে সে এক বা দুটি গোল করতে পারত। তবে শেষ পর্যন্ত সে একজন গোলদাতা এবং স্ট্রাইকার, যে গোল করতে পারে। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটিই ছিল জয়সূচক। সেটা ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছে।’

ম্যাচে বার্সার হয়ে প্রথম গোল করা ইয়ামালও জানিয়েছেন নিজের আনন্দের কথা, ‘আমি জয়ের জন্য আনন্দিত। ঘরের মাঠে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ।’