গোল করার পর আর্সেনালের বেন হোয়াইটের উচ্ছ্বাস
গোল করার পর আর্সেনালের বেন হোয়াইটের উচ্ছ্বাস

ফুটবলার না হলে বাবার মতো মালি হতেন যিনি

বেন হোয়াইট—নামটা শুনেছেন নিশ্চয়ই? অন্তত বোর্নমাউথের বিপক্ষে আর্সেনালের সর্বশেষ ম্যাচটার খোঁজ রাখলে এই নামটা অপরিচিত লাগার কথা নয়।  কারণ, ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে বোর্নমাউথের বিপক্ষে যে ম্যাচটা আর্সেনাল জিতল, সেই ম্যাচে আর্সেনালকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন এই হোয়াইট। প্রিমিয়ার লিগে সেটিই তাঁর প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র গোল। আর্সেনালের হয়েও প্রথম।

গত শনিবার গানারদের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অবনমন অঞ্চলের দল বোর্নমাউথ। পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় থাকা আর্সেনাল প্রথম গোল করে ম্যাচের ৬২ মিনিটে। এরপর ৮০ মিনিটে নেলসনের সহায়তায় গোল করেন হোয়াইট। আর্সেনাল শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জেতে ৩-২ গোলে।

বেন হোয়াইটকে নিয়ে আর্সেনালের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

বেন হোয়াইটের কাজ গোল করা নয়, মূলত গোল ঠেকানো। ক্যারিয়ারে তাই মোট গোলের সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। গোল ঠেকানোর কাজটা ভালো করে করতে জানেন বলেই মিকেল আর্তেতার পছন্দের তালিকায় আছেন এই ডিফেন্ডার। পেশাদার ফুটবলে ২৬৮ ম্যাচ খেলা এই রাইট–ব্যাক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অদ্ভুত কিছু তথ্যই দিয়েছেন।

হোয়াইট নিজে ফুটবলার অথচ ফুটবল খেলাটাই নাকি তিনি দেখেন না, ‘আমি কখনোই ফুটবল খেলা দেখতাম না। ছোটবেলায় পাঁচ মিনিট খেলা দেখার পরই বিরক্ত লাগত, তখন বাইরে গিয়ে ফুটবল খেলতাম। এখনো তেমন ফুটবল দেখি না। নিজের উন্নতির জন্য নিজের ভিডিও ফুটেজটা দেখি শুধু।’

ফুটবলার না হলে কী হতেন, এমন প্রশ্নে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর বাবার সঙ্গেই কাজ করতেন, ‘সম্ভবত আমি ফুটবলার না হলে বাবার সঙ্গে কাজ করতাম। আমার বাবা একজন মালি ছিলেন। আমার ওপর আসলে কোনো চাপ ছিল না, বাবার সঙ্গে কাজ করতে পারলেও অনেক খুশি হতাম। ফুটবলের জগতে এসেছি। কিন্তু বাবা যা করেছেন তা করতে আমার মোটেও সমস্যা ছিল না।’