লিওনেল মেসি নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো—একটা সময় ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণার আগে এ আলোচনায় চায়ের কাপে উঠত তুমুল ঝড়। এ নিয়ে মেসি আর রোনালদোও কি কম কথা বলেছেন! ব্যক্তিগত পুরস্কারে এই দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন, তা নিয়ে তাঁদের ভক্তরাও জড়িয়ে পড়তেন তর্কবিতর্কে, এখনো যা চলমান।
আগামী ৩০ অক্টোবর আরেকটি ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের রাত। পাঁচবারের জয়ী রোনালদো ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে নেই বললেই চলে। অন্যদিকে কাতারে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তোলা মেসির পক্ষে বাজি ধরতে তৈরি অনেকে।
এখন পর্যন্ত ৭টি ব্যালন ডি’অর জেতা মেসি নিজে কী মনে করেন, তিনি কি এবার ব্যালন ডি’অর জিততে পারবেন? প্রশ্নটি মেসিকে করা হয়েছিল ইন্টার মায়ামির সংবাদ সম্মেলনে। নাশভিলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে লিগস কাপের ফাইনাল খেলবে মায়ামি। এর আগে দলটির সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মেসি। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নাম লেখানোর পর তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
সেই সংবাদ সম্মেলনে ব্যালন ডি’অর নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মেসি যেন ক্ষণিকের জন্য মোহমুক্ত এক ‘সন্ন্যাসী’ হয়ে গেলেন! যাঁর জাগতিক কোনো পুরস্কার বা চাওয়া–পাওয়ায় কোনো আগ্রহ নেই। ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে এমনভাবে কথা বললেন, যেন এটা তাঁর কাছে খুবই তুচ্ছ, ‘সত্যি হচ্ছে, এটা নিয়ে আমি অতটা ভাবছি না। যদি পুরস্কারটা পাই, ভালো। আর যদি না পাই, কিছুই এসে যায় না।’
ব্যালন ডি’অর নিয়ে এমন নির্লিপ্ততা কেন, সেই কারণও জানিয়েছেন মেসি, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে এটা অনেকবার বলেছি যে ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতটা গুরুত্ব দিইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলীয় অর্জন।’
মেসি আসল কথাটা জানান এরপর। বিশ্বকাপই তাঁকে ব্যালন ডি’অর নিয়ে এতটা নির্লিপ্ত করে দিয়েছে বলে জবাব তাঁর, ‘আমি ভাগ্যবান যে ক্যারিয়ারে সবকিছু জিতেছি। আমার ক্যারিয়ারে যে অপূর্ণতা ছিল, সেই বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর আমি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিয়ে কমই ভাবছি। আমার সেরা পুরস্কার ছিল বিশ্বকাপ জয়, আর এখন আমি মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি।’