রুবেন দিয়াজের সঙ্গে ফিল ফোডেনের গোল–উদ্‌যাপন
রুবেন দিয়াজের সঙ্গে ফিল ফোডেনের গোল–উদ্‌যাপন

শেষ আটের পথে এগিয়ে গেল দাপুটে সিটি

কোপেনহেগেন ১ : ৩ ম্যানচেস্টার সিটি

ম্যাচের ফল সব সময় আসল চিত্রটা দেখায় না। যেমন আজ রাতে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচেও দেখা যাচ্ছে না। পুরো ম্যাচে একতরফাভাবে শুধু সিটিই খেলেছে।

এই ম্যাচে সিটির ৭৯ শতাংশ বলের দখল রেখে ২৭টি শট নিয়ে ১৩টি লক্ষ্যে রাখা বলে দিচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা কতটা আগ্রাসী ফুটবল খেলেছে। যদিও আক্রমণের পর আক্রমণে গিয়েও জয়ের জন্য তিনটির বেশি গোল পায়নি সিটি। তবে এ জয়ে শেষ আটে যাওয়ার পথে দারুণভাবে এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল।

কোপেনহেগেনের মাঠে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সিটি। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে একরকম কোণঠাসা করে ফেলে তারা। ৩ মিনিটের মাথায় আনমার্ক অবস্থায় থেকেও গোল করতে পারেননি ডি ব্রুইনা। ৬ মিনিটে গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দেন কোপেনহেগেনকে। তবে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচতে পারেনি স্বাগতিকেরা। ১০ মিনিটের মাথায় ফিল ফোডেনের সহায়তায় দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করে সিটিকে এগিয়ে দেন ডি ব্রুইনা।

ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে সিটির দখলে বল ছিল ৮২ শতাংশ। এ সময় কোপেনহেগেন কোনো আক্রমণই গড়তে পারেনি। কোনোভাবে সিটির আক্রমণের ঢেউগুলো সামাল দিয়ে যাচ্ছিল তারা। ২৩ মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি সিটি। এর আগে ২১ মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশের চোটে পড়লে তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন জেরেমি ডোকো। গ্রিলিশকে হারিয়ে কিছুটাও শক্তিও হারায় সিটি। কমে গিয়েছিল আক্রমণের ধারও। তবুও ম্যাচটা ছিল সিটির নিয়ন্ত্রণেই। তবে সিটিকে বড় ধাক্কা দিয়ে স্রোতের বিপরীতে ৩৪ মিনিটে সমতায় ফেরে কোপেনহেগেন।

ম্যানচেস্টার সিটির দ্বিতীয় গোলটি বের্নার্দো সিলভার

তবে এই গোলটিতে সিটি গোলরক্ষক এদেরসনের অবদানও কম নয়। তিনি বলটি তুলে দেন কোপেনহেগেনের মোহাম্মদ এলইউনুসির পায়ে। তাঁর শট সিটির রক্ষণে আটকে গেলেও পরে ম্যাগনাস ম্যাটসনের জোরাল শটে বল এদেরসনকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়।

আচমকা গোল পেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে কোপেনহেগেন। কয়েকবার আক্রমণেও যায় তারা। যদিও দ্বিতীয় গোল মনে হচ্ছিল দূরের বাতিঘর। তবে সুযোগ নষ্ট করেনি সিটি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ডি ব্রুইনার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে সিটিকে ফের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা।কোপটে

কোপেনহেগেন একমাত্র গোলটি ম্যাগনাস ম্যাটসনের

বিরতির পরও সেই দাপুটে সিটির দেখা মেলে। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বয়ে দেয় তারা। কিন্তু সিটির কোনো আক্রমণই আলোর মুখ দেখছিল না। বারবার কাছাকাছি গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছিল তাদের। সিটির দুই একটি আক্রমণ অবশ্য অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ফেরান কোপেনহেগেন গোলরক্ষক। আবার কখনো সিটি গোলবঞ্চিত হয়েছে পোস্টের কারণে। তবে সিটি তৃতীয় গোলটি শেষ পর্যন্ত পেয়েই যায়। যোগ করা সময়ে গোলটি করেন ফিল ফোডেন। এ জয়ের পর এখন শেষ আটে এক পা দিয়ে রাখল সিটি। ইতিহাদে ৭ মার্চই দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুদল।