তাঁর ফাইনালে খেলা নিয়েই ছিল শঙ্কা। চোটে পড়ে গ্রুপ পর্বের পর আর কোনো ম্যাচই যে খেলতে পারেননি। অথচ সেই আনহেল দি মারিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে সামনে এসেছিলেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম নায়ক ছিলেন এই উইঙ্গারই।
গত রোববার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে শুরুতে পেনাল্টি আদায় করে নেন এই জুভেন্টাস তারকা। এরপর দারুণ এক আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন মারিয়া নিজেই।
তাঁর দুই গোল আর্জেন্টিনার ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ পাওয়ার পথে বড় ভূমিকা রেখেছে। এর আগে মারাকানায় কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে এবং ওয়েম্বলিতে ইতালির বিপক্ষে ফিনালিসিমার ম্যাচেও গোল করেছিলেন দি মারিয়া।
তবে অবাক করার মতো হলেও সত্যি যে ফাইনালে গোল করা এবং বিশ্বকাপ জেতার ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন দি মারিয়া। ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগে এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় দি মারিয়া তাঁর স্ত্রী জর্জেলিনা কারদোসোকে বলেছিলেন শিরোপা উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিতে।
এমনকি ফাইনালে যে তিনি গোল করবেন, সেটিও স্ত্রীকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন এই তারকা ফুটবলার। দি মারিয়ার সঙ্গে আলাপের বার্তার ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন কারদোসো নিজেই।
সেই আলাপে স্ত্রীকে দি মারিয়াকে বলেছেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছি প্রিয়। এটা লেখা হয়ে আছে। আমি গোল করব। কারণ, মারাকানা ও ওয়েম্বলির (মারাকানায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে এবং ওয়েম্বলিতে ফিনালিসিমায় গোল করেছিলেন দি মারিয়া) মতো এটাও লেখা হয়ে গেছে।’
এ সময় স্ত্রীকে উদ্যাপনের কথাও বলেছেন জুভেন্টাস তারকা, ‘কাল দিনটাতে উদ্যাপন কোরো। কারণ, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছি। আমরা যে ২৬ জন এখানে আছি এবং আমাদের পরিবারের এটা প্রাপ্য।’
বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে ইতিমধ্যে নিজ শহর রোজারিওতে ফিরেছেন দি মারিয়া। যেখানে তাঁর সঙ্গী ছিলেন এই শহর থেকে উঠে আসা মহাতারকা লিওনেল মেসিও। জন্ম শহরে এ দুজনকে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয়।