ইংল্যান্ড জাতীয় দল এর আগে মাত্র দুইবার ছিল বিদেশি কোচের অধীনে। ২০০১ সালে সুইডিশ কোচ সভেন গোরান এরিকসন কোচ হয়েছিলেন ডেভিড বেকহামদের। ২০০৬ সালে তাঁর বিদায়ের পর এক বছর একজন ইংলিশ কোচ ইংল্যান্ড দলকে চালানোর পর আবার দায়িত্ব পান একজন বিদেশি—ইতালিয়ান ফাবিও কাপেলো।
এবার আবার জাতীয় দলের জন্য বিদেশি কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনির। ফ্রান্সের কোচ টমাস টুখেলকে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব দেওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন তিনি। তবে তাঁর অধীনে দলের সাফল্যই কামনা করছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক স্ট্রাইকার।
ইংল্যান্ড দল আশানুরূপ ফল পাচ্ছিল না বলে গ্যারেথ সাউথগেট কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর ইংলিশ বংশোদ্ভূত সাবেক আইরিশ ফুটবলার লি কার্সলি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এবার সাউথগেটের বিকল্প হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক কোচ টুখেলকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে এফএ।
টুখেলের নিয়োগ নিয়ে রুনি বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত। সে খুব ভালো একজন কোচ। কিন্তু এরপরও এফএ তাকে নিয়োগ দেওয়ায় আমি বিস্মিত।’ টুখেলের নিয়োগ নিয়ে বিস্মিত হলেও তাঁর জন্য শুভকামনাই জানিয়েছেন রুনি, ‘কিন্তু আমি তার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি এবং আশা করছি যে সে ভালো করবে।’
রুনির বিস্ময়ের কারণ একটাই। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের কোনো কোচকে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব দেয়নি, ‘গত ১০–১৫ বছরে এফএ যে দারুণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, তার মাধ্যমে অনেক তরুণ কোচ উঠে আসছে। তাই এফএ নিজেদের কোনো কোচ নিয়োগ দেয়নি বলে আমি বিস্মিত হয়েছি। কিন্তু যেমনটা আমি বললাম, তারা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি তার শুভকামনা করছি। আশা করছি, আমাদের জন্য ভালো কিছুই করবে।’