আর্জেন্টিনার লাওতারো মার্তিনেজ খেলেন ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানে
আর্জেন্টিনার লাওতারো মার্তিনেজ খেলেন ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানে

কে জিতবে বিশ্বকাপ—বায়ার্ন মিউনিখ না ইন্টার মিলান?

জার্মানি এবার প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে, ইতালি তো বাছাইপর্বই উতরাতে পারেনি। তবু এ দুটি দেশের ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব থাকছে বিশ্বকাপ ফাইনালে।

জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে শিরোপা লড়াইয়ে আছেন ফ্রান্সের বেঞ্জামিন পাভার, দায়োত উপামেকানো, কিংসলি কোমান ও লুকাস এরনান্দেজ। আর ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে আছেন আর্জেন্টিনার লাওতারো মার্তিনেজ।

জিজ্ঞেস করতে পারেন, আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স দুই দলের সব খেলোয়াড়ই তো কোনো না কোনো ক্লাবের হয়ে খেলেন। আলাদা করে বায়ার্ন মিউনিখ আর ইন্টার মিলানের উল্লেখ কেন?

ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলোর ভিড়ে বায়ার্ন ও ইন্টার আলাদা হয়ে ওঠার মূলে কাকতালীয় এক ধারাবাহিকতা। ১৯৮২ থেকে ২০২২—টানা ৪০ বছর ধরে প্রতিটি বিশ্বকাপের ফাইনালে আছে বায়ার্ন ও ইন্টারের খেলোয়াড়। বিশ্বের আর কোনো ক্লাবের খেলোয়াড়দের টানা এত বছর ফাইনালে দেখা যায়নি।

আবার দুই ক্লাবের মধ্যে চূড়ান্ত সাফল্য বিবেচনায় এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ। সর্বশেষ ১০ বিশ্বকাপজয়ী দলের ৫টিতেই ছিল বায়ার্নের খেলোয়াড়, ইন্টার মিলানের খেলোয়াড় ছিলেন ৩টিতে। বাকি দুটি ফাইনালে এ দুই ক্লাবের খেলোয়াড়েরা ছিলেন রানার্সআপ দলে।

১৯৮২: ইতালি ৩:১ পশ্চিম জার্মানি

বায়ার্ন: কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে, পল ব্রাইটনার, ভল্‌ফগাং ড্রেমলার (পশ্চিম জার্মানি)
ইন্টার: জিউসেপ্পে বারগোমি, গ্যাব্রিয়েল ওরিয়ালি, আলেসান্দ্রো আলতোবেল্লি (ইতালি)

১৯৮৬: আর্জেন্টিনা ৩:২ পশ্চিম জার্মানি

বায়ার্ন: লোথার ম্যাথাউস, দিয়েতার হোয়েনেস, নোরবার্ট এডার (পশ্চিম জার্মানি)
ইন্টার: কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে (পশ্চিম জার্মানি)

১৯৯০: পশ্চিম জার্মানি ১: আর্জেন্টিনা
বায়ার্ন: ক্লাউস অগেনথালার, ইয়ুর্গেন কোহলার, স্টেফান রয়টার (পশ্চিম জার্মানি)
ইন্টার: আন্দ্রে ব্রেমা, ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, লোথার ম্যাথাউস (পশ্চিম জার্মানি)

১৯৯৪: ব্রাজিল ০-০ ইতালি (পেনাল্টিতে ৩-২)
বায়ার্ন: জর্জিনিও (ব্রাজিল)
ইন্টার: নিকোলা বেরতি (ইতালি)

১৯৯৮: ফ্রান্স ৩: ০ ব্রাজিল
বায়ার্ন: বিজেন্তে লিজারাজু (ফ্রান্স)
ইন্টার: ইউরি জোরকায়েফ (ফ্রান্স), রোনালদো (ব্রাজিল)

২০০২: ব্রাজিল ২:০ জার্মানি
বায়ার্ন: অলিভার কান, কার্স্টেন ইয়ানকার, থমাস লিঙ্কে, জেন্স ইয়েরেমিস (জার্মানি)
ইন্টার: রোনালদো (ব্রাজিল)

২০০৬: ইতালি ১: ১ ফ্রান্স (পেনাল্টিতে ৫-৩)

বায়ার্ন: উইলি সানিওল (ফ্রান্স)
ইন্টার: মার্কো মাতেরাজ্জি (ইতালি)

২০১০: স্পেন ১:০ নেদারল্যান্ডস

বায়ার্ন: আরিয়েন রোবেন, মার্ক ফন বোমেল (নেদারল্যান্ডস)
ইন্টার: ওয়েসলি স্নাইডার (নেদারল্যান্ডস)

২০১৪: জার্মানি ১: আর্জেন্টিনা

বায়ার্ন: মানুয়েল নয়্যার, ফিলিপ লাম, জেরোম বোয়াটেং, বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগার, টনি ক্রুস, টমাস মুলার, মারিও গোটশে (জার্মানি)
ইন্টার: রদ্রিগো পালাসিও (আর্জেন্টিনা)

২০১৮: ফ্রান্স ৪:২ ক্রোয়েশিয়া

বায়ার্ন: কোরেন্তিন তোলিসো (ফ্রান্স)
ইন্টার: মার্সেলো ব্রোজোভিচ, ইভান পেরিসিচ (ক্রোয়েশিয়া)

২০২২: আর্জেন্টিনা: ফ্রান্স

বায়ার্ন: বেঞ্জামিন পাভার, দায়োত উপামেকানো, কিংসলি কোমান, লুকাস এরনান্দেজ (ফ্রান্স)
ইন্টার: লাওতারো মার্তিনেজ (আর্জেন্টিনা)