তুলুজের মাঠে আগের ম্যাচে বদলি নেমেছিলেন বিরতির পর। গোলও করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু পিএসজি জেতেনি সেই ম্যাচ, করেছিল ১-১ ড্র।
কোচ লুইস এনরিকে বোধহয় বুঝতে পেরেছেন, এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়দের বদলি হিসেবে খেলানোটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। আজ আর তাই সেই ভুল করেননি পিএসজি কোচ। পার্ক দে প্রিন্সেসে লাসের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই তাই মাঠে দেখা গেল এমবাপ্পেকে।
ফরাসি ফরোয়ার্ড হতাশ করেননি কোচকে। করেছেন জোড়া গোল, খেলেছেন দারুণ। পিএসজি অবশ্য ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল এমবাপ্পের দুই গোলের আগেই মার্কো আসেনসিওর গোলে। শেষ পর্যন্ত লাসের বিপক্ষে ম্যাচটা লুইস এনরিকের দল জিতেছে ৩-১ গোলে।
নতুন মৌসুমে তিন ম্যাচ খেলে পিএসজির এটাই প্রথম জয়। লাসের বিপক্ষে ড্রয়ের আগে এনরিকের দল লোরিয়াঁর বিপক্ষেও গোলশূন্য ড্র করে শুরু করেছিল মৌসুম।
গত মৌসুমের রানার্স আপ লাস এই মৌসুমে এখনো জয়হীন, দুটি হারের সঙ্গে একটি ড্র। আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মাঠে অতিথি হয়ে গিয়ে অবশ্য খুব খারাপ খেলেনি লাস। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি, যেটা পিএসজি পেরেছে।
পিএসজির প্রথম গোলটা এসেছে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ওয়ারেন জায়ের-এমেরির পাস থেকে দারুণ এক শটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মার্কো আসেনসিও। এর আগে অবশ্য এমবাপ্পে দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন। একবার একেবারে গোলমুখের সামনে থেকে বল ফিরিয়ে দেন লাস ডিফেন্ডার কেভিন ডানসো। আরেকবার লাসকে বাঁচান গোলরক্ষক ব্রিস সাম্বা।
তবে বিরতির পর পিএসজি খুব বেশি ভুল করেনি। ৫২ মিনিটে লুকাস এরনান্দেজের সঙ্গে দারুণ ওয়ান-টু খেলে প্রায় ১০ গজ দূর বুলেটগতির এক শটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। পিএসজির হয়ে ফরাসি লিগ আঁ-তে যেটি এমবাপ্পের ১৫০তম গোল। পরে অবশ্য ১৫১ নম্বর গোলটাও পেয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড, তবে সেটা ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ের শুরুতে। ম্যাচে এমবাপ্পের ওই দ্বিতীয় গোলের পর ভিআইপি বক্সে থাকা পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফিকে দেখাচ্ছিল। মুখে হাসি। চেনা এমবাপ্পেকে ফিরে পেয়ে তিনিও খুশি।
ম্যাচটা লাসের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল পিএসজির দ্বিতীয় গোলের পরই। তবে দলের হয়ে তৃতীয় ও ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করে এমবাপ্পে লাসের সব আশা শেষ করে দেন। একেবারে খালি হাতে অবশ্য ফেরেনি লাস। যোগ হওয়া সময়ের শেষ মুহূর্তে মরগান গুইলাভোগুই একটা সান্ত্বনার গোল এনে দেন লাসকে। তাতে অবশ্য পিএসজির জয়ের আনন্দে ভাটা পড়েনি একটুও।