লড়াইটা ত্রিমুখী ছিল ঠিক এক মাস আগেও। যেমন লিগ শিরোাপায়, তেমনই গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে। প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী রোববার। তিন দলের ট্রফি লড়াই এখন দুই দলে সীমিত হয়ে এসেছে। তবে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে দুজনও নেই।
গোল্ডেন বুট জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ড। মহানাটকীয় কিছু না ঘটলে টানা দ্বিতীয়বার প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিততে চলেছেন ২৩ বছর বয়সী নরওয়েজীয় তারকা।
প্রিমিয়ার লিগে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেও গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে ছিলেন সিটির হলান্ড, চেলসির কোল পালমার ও অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিনস। হলান্ড ও পালমারের গোল ছিল ২০টি করে, ওয়াটকিনসের ১৯টি। এর মধ্যে পালমার এভারটনের বিপক্ষে ৪ গোল করে হলান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে এগিয়ে ছিলেন। আর ওয়াটকিনস তো আর্সেনালের বিপক্ষে গোলের পর এমনও বলেছিলেন, ‘গোল্ডেন বুটের দিকে আমার চোখ আছে। আমি বাকি সব ম্যাচেই গোল করতে চাই।’
তবে বাকি সব ম্যাচে গোল করতে চাওয়া ওয়াটকিনস লিগে পরের চার ম্যাচেই গোলহীন। একই সময়ে (১৫ এপ্রিলের পর) পালমার পাঁচ ম্যাচ খেলে করতে পেরেছেন মাত্র ২ গোল। অর্থাৎ, ওয়াটকিনস আটকে আছেন ১৯ গোলেই, পালমার ২২–এ। এ সময়ে আরও ৩ গোল করে ওয়াটকিনসকে ছাড়িয়ে গেছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের আলেক্সান্দার ইসাক। সুইডিশ এই ফরোয়ার্ডের গোল এখন ২০টি।
গত এক মাসেই গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে নিজেকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছেন হলান্ড। উল্ভসের বিপক্ষে করেছেন ৪ গোল, টটেনহামের বিপক্ষে ২ আর নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে ১। সব মিলিয়ে হলান্ডের গোল এখন ৩০ ম্যাচে ২৭, দ্বিতীয় স্থানে থাকা পালমারের চেয়ে ৫টি বেশি। লিগে চেলসির ম্যাচ বাকি একটি, সিটিরও একটি। অতিনাটকীয় কিছু না ঘটলে এই ৫ গোলের ব্যবধান ঘোচার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম দুই মৌসুমেই গোল্ডেন বুট জিতে নেবেন হলান্ড। ২০২২–২৩ মৌসুমে তিনি করেছিলেন রেকর্ড ৩৬ গোল।
হলান্ড গোল্ডেন বুট জিতলে তিনি হবেন প্রিমিয়ার লিগে দুবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া পঞ্চম খেলোয়াড়। তবে ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম। হলান্ড বাদে সিটির জার্সিতে খেলে প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট জিতেছেন দুই আর্জেন্টাইন কার্লোস তেভেজ (২০) ও সের্হিও আগুয়েরো (২৬)।